Prothomalo:
2025-04-22@02:31:41 GMT

জিনের উদ্ভব কখন

Published: 22nd, April 2025 GMT

ইবনে আব্বাস (রা.), আতা ইবনে রাবাহ (রহ.), হাসান বসরি (রহ.), মুকাতিল ও কাতাদা (রহ.) সহ অধিকাংশের মতে, ‘আল্লাহ জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন মানবজাতির আগেই। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি তো ছাঁচে-ঢালা শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছি, আর এর আগে খুব গরম বাতাসের ভাপ থেকে জিন সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা হিজর, ২৬-২৭)

রাসুল (সা.

) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে আদমের প্রতিকৃতি তৈরি করার পর নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত রেখে দেন। তখন ইবলিস আদমের মাটির প্রতিকৃতির চারপাশ ঘুরে ঘুরে এর মধ্যে ফাঁকা দেখে সে বুঝতে পেরেছিল, এটা এমন এক সৃষ্টি, যারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৬১১)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সূত্রে ইমাম হাকিম (রহ.) বর্ণনা করেন, ‘মানুষ সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগে আল্লাহ জিন জাতিকে সৃষ্টি করেন। পৃথিবীর সর্বত্র তারা ফেতনা-ফ্যাসাদ ছড়াতে থাকে। অবশেষে আল্লাহ ফেরেশতাদের আদেশ করেন, তাদেরকে পিটিয়ে সমতলভূমি থেকে উচ্ছেদ করে সমুদ্রের বিভিন্ন দ্বীপে পাঠিয়ে দিতে। এরপর আল্লাহ যখন ফেরেশতাদের বললেন, পৃথিবীতে তিনি তাঁর প্রতিনিধি পাঠাবেন। ফেরেশতারা বলল, আপনি কি এমন জাতি পাঠাবেন, যারা ফিতনা-ফ্যাসাদ ও রক্তপাত করবে; আগে যেমন জিন জাতি করেছিল?’ (মুসতাদরাকে হাকিম, ৩,০৩৫)

আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র শত আল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

তপ্ত দুপুরে হাওরের পথে

মাঝ আকাশে সূর্য। প্রখর তীব্রতা নিয়ে যেন ঝরছে রোদ। চামড়াপোড়া এমন থমথমে গরমেও মাঝেমধ্যে শীতল বাতাস শরীর ধুয়ে দিচ্ছে! সুদূরে ডাকছে পাখি। পানি কমে চিকন হয়ে আসা খালে চুপটি মেরে শিকারের আশায় দাঁড়িয়ে আছে একঝাঁক সাদা বক। রাস্তার ধারে ফুটে আছে পিউম ফুল। ডানে-বাঁয়ে দিগন্তবিস্তৃত সবুজ ধানখেত। খেতে দাঁড়িয়ে থাকা হিজল-করচে গজিয়েছে কচি পাতা।

সম্প্রতি হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হাওর ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। বর্ষায় হাওরের যে রূপ, শুকনা মৌসুমে তা একেবারেই বিপরীত। যে হাওর বর্ষায় অনেকটা সমুদ্রের মতো, শুকনা মৌসুমে সেখানেই মাটি ফেটে চৌচির। কিছু খাল-নদীতে পানি থাকলেও তা যৎসামান্য। আবার কোনো কোনো জলাশয় তো শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে! কোথাও একাকী, আবার কোথাও দলবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে হিজল-করচগাছ।

সদ্য শেষ হওয়া চৈত্র মাসের এক দুপুরে হাওরের আঁকাবাঁকা পাকা-কাঁচা রাস্তা ধরে এই প্রতিবেদক যান। বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে রওনা হয়ে লক্ষ্মীবাঁওড় জলাবন (খরতির জঙ্গল) পেরিয়ে জেলার আজমিরীগঞ্জের পাহাড়পুর বাজার পর্যন্ত যাওয়ার পথে দেখা মেলে শতাধিক গ্রাম, গোটা দশেক হাওর-নদী-বিল-খালের। পথে পথে সৌন্দর্য। মাঠ, হাওরের উন্মুক্ত প্রান্তর যেন এখন সবুজ ঘাসের গালিচা। সেখানে চরে বেড়াচ্ছে গরু-ছাগল। বক, শামুকখোল পাখিরা জলাশয়ে একসঙ্গে খুঁজছে খাবার।

বানিয়াচং উপজেলা সদর পেরিয়ে হাওরের মূল ভূখণ্ড ঢুকতেই স্বাগত জানায় পাকা একটি সড়ক। সড়ক ধরে কেউ-বা হেঁটে যাচ্ছেন, কেউ-বা যাচ্ছেন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে চেপে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, বর্ষায় এই সড়ক পানির নিচে ডুবে থাকে আর হেমন্তে ভেসে ওঠে। সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙাচোরা, কোথাও আবার পিচহীন। গবাদিপশুর জন্য ঘাস কেটে কেউ-বা সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছেন, কেউ-বা সড়ক-লাগোয়া খাল-নালায় ব্যস্ত মাছ শিকারে। মাথার ওপরে চক্কর খাচ্ছে চিল, সারস, কাক, ফেসকুন্দাসহ নানা জাতের পাখি।

বানিয়াচং উপজেলার খরতির জঙ্গলে হিজল-করচবাগ

সম্পর্কিত নিবন্ধ