পোপ ফ্রান্সিস মারা যাওয়ার আগে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দায় তাঁর শেষ বার্তায় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। ইস্টার সানডের ওই বার্তা উচ্চ স্বরে পড়েছিলেন তাঁর সহযোগী।

পোপ ফ্রান্সিস গতকাল সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় মারা গেছেন।

৮৮ বছর বয়সী পোপ চিকিৎসকদের নির্দেশে তার কাজের চাপ সীমিত রেখে ইস্টারের জন্য ভ্যাটিকানের প্রার্থনায় সভাপতিত্ব করেননি। তবে অনুষ্ঠানের শেষে ‘উরবি অ্যাট অরবি’ নামে পরিচিত বার্ষিক আশীর্বাদ এবং বার্তার জন্য উপস্থিত হন।

নিউমোনিয়ার জন্য পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার আগে পোপ ফ্রান্সিস গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সমালোচনা জোরদার করে তুলছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর এবং লজ্জাজনক।

 ইস্টারের বার্তায় পোপ বলেন,  গাজার পরিস্থিতি নাটকীয় ও শোচনীয়। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।

পোপ তাঁর বার্তায় বলেন, ‘আমি সমস্ত ইসরায়েলি জনগণ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার প্রতি আমার একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমি যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কাছে আবেদন করছি, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুন, জিম্মিদের মুক্তি দিন এবং শান্তির ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা পোষণকারী ক্ষুধার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।’

গত সপ্তাহে হামাস আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পরিবর্তে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তি দাবি করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু শনিবার বলেছেন, তিনি হামাসের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে। এতে ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যার অধিকাংশ নারী ও শিশু।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র জন য ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে যা যা থাকা উচিত

৫ আগস্ট ২০২৪-এ ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাত্র আট মাস পর বিভিন্ন রাজনৈতিক অংশীদার ও নাগরিকদের একটি অংশ বিপ্লব-পরবর্তী করণীয় নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে।

নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এর মূল কারণ হলো, জনগণের বিশাল প্রতিরোধ আন্দোলন ও তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বারবার, বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেলেও বিপ্লবের জন্য পূর্বনির্ধারিত কোনো সাংগঠনিক লক্ষ্য বা সুস্পষ্ট রাজনৈতিক দর্শন ছিল না।

ঐতিহাসিক দৃষ্টান্তগুলোতে সাধারণত বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী দল বা শীর্ষ নেতা বিপ্লবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র প্রস্তুত ও প্রকাশ করে থাকে। তবে আমাদের এখানে বিপ্লবের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র (প্রক্লেমেশন অব রেভল্যুশন) প্রকাশ করা হয়নি।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লব হঠাৎ করেই সংঘটিত হয়। এটি কোনো একক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়নি।

তবে এটি গণতান্ত্রিক অধিকার বছরের পর বছর অস্বীকার করার প্রতিক্রিয়ায় সংঘটিত হয়েছিল।

আরও পড়ুনজুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র কি ঐক্যের পথ প্রশস্ত করবে০৯ জানুয়ারি ২০২৫

শেখ হাসিনা সরকারের দমনমূলক ও দুর্নীতিপরায়ণ শাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দীর্ঘকাল ধরে জমে থাকা জনরোষের ফলে এই বিপ্লবের পটভূমিতে ধাপে ধাপে গড়ে উঠেছিল।

মাত্র তিন সপ্তাহে ১ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ হত্যা এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ হয়।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামের যে সংগঠনটি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল এবং পরে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে রাজনৈতিক পরিবর্তনের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়েছিল, সেই সংগঠনটি এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং ইসলামি রাজনৈতিক শক্তিগুলো এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিপ্লবী ঘোষণাপত্র বা রূপরেখা প্রকাশ করেনি, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার দিকনির্দেশনা দিতে পারে।

নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি এবং শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সফল বিপ্লবের তোপে হাসিনার আওয়ামী লীগের পচা শাসনব্যবস্থা তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে।

স্পষ্টতই বিপ্লবী ম্যান্ডেট নিয়ে আসা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সরকারি কার্যক্রম সচল রাখা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে বিপ্লবের মূল লক্ষ্যগুলো সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ না থাকায় বর্তমান ও ভবিষ্যতের সরকারগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট করণীয় নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।  

আরও পড়ুন‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কী বার্তা দিল৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পরিস্থিতিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি ঘোষণাপত্র প্রস্তাব করেছি, যা আলোচনা ও পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করা হলো। এটি আমার নিজস্ব মতামত। তাই যে কেউ এতে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন, সমালোচনা করতে পারেন বা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যানও করতে পারেন।  

এর মূল উদ্দেশ্য হলো—সমাজ ও রাজনীতির পরিসরে ইতিবাচক বিতর্ক সৃষ্টি করা, যা ভবিষ্যতে কার্যকর সামাজিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক অগ্রগতির ভিত্তি তৈরি করতে পারে।

প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা হবে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে রাষ্ট্র নাগরিকদের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে এবং তাদের সফলতার জন্য সমর্থন জোগাবে, নাগরিকেরাও রাষ্ট্রের মালিকানা গ্রহণ করে তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। নতুন নাগরিকদের রাষ্ট্রে জনগণের সম্পত্তি, সেবা ও বিচারপ্রাপ্তি এবং সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে নিশ্চিত করা হবে।জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র এমনটা হতে পারে:

‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এই দেশে একটি উন্নত জীবন, শান্তিপূর্ণ ও গতিশীল সমাজ, ন্যায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত অর্থনৈতিক ও বিচারব্যবস্থা এবং কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছি।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম শোষণ ও অন্যায় শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে এবং প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল শোষণ ও দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, দেশটি আবারও একদলীয় স্বৈরতন্ত্রের কবলে পড়ে (প্রথমবার ১৯৭২-১৯৭৫ সালে এবং পুনরায় ২০০৯-২০২৪ মেয়াদকালে), যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

শেষ পর্যন্ত জনগণ স্বৈরাচারী, রাষ্ট্রবিরোধী ও জনবিরোধী সরকারকে উৎখাত করতে বিদ্রোহ করেছে ও আত্মাহুতি দিয়েছে, যাতে তাদের শাসকদের দাসে পরিণত হতে না হয় এবং নিজেদের দেশে পরবাসী হয়ে না থাকতে হয়।

এই বিপ্লব জনগণের শাসনব্যবস্থা ও রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। জনগণ একটি সহনশীল নেতৃত্ব ও সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজের প্রত্যাশা করে, যা নিম্নলিখিত মৌলিক নীতিগুলোর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়—

বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘ সময় ধরে বিদেশি আশীর্বাদপুষ্ট দেশীয় অপশক্তি দ্বারা নিপীড়িত হয়েছে। তাই আমরা আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক কল্যাণের নীতি পুনর্ব্যক্ত করছি।

বিপ্লবের মাধ্যমে একটি নতুন গণপ্রজাতন্ত্রী (রিপাবলিক) বাংলাদেশ গঠনের ডাক দেওয়া হচ্ছে। ঘোষণা করছি, দেশটি জনগণের এবং জনগণ দেশ পরিচালনায় সততা ও মর্যাদার সঙ্গে নিজেদের নিয়োজিত করবে।  

জনগণের ওপর সংঘটিত গণহত্যা, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম এবং অন্যায়ভাবে আটক রাখার সংস্কৃতি বন্ধ করা হবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার ধারণায় জনগণকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

যেহেতু এই বদ্বীপের মানুষেরা ঔপনিবেশিক যুগ এবং পরে বিশেষ করে গত দেড় দশকে শাসনব্যবস্থা থেকে ন্যায়নিষ্ঠ আচরণ পাননি, সে জন্য গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের নীতিকে শক্তিশালী করতে সংবিধান, আইন ও বিধিবিধান সংশোধন ও পুনর্লিখন করা হবে, যাতে মানবিক রাষ্ট্রের সব কর্মকাণ্ড জনগণের শান্তি ও কল্যাণে নিবেদিত হয়।  

দুর্নীতিপরায়ণ ও অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠী যে ক্ষমতার দম্ভ, অর্থ ও সম্পদের দাসত্ব এবং অসমতার সংস্কৃতি গড়ে গেছে, তা নির্মূল করতে কার্যকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে, বিশেষ করে সাধারণ জনগণকে এই দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করা হবে।  

যেহেতু বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে, তাই জনগণের ভোটাধিকার ও প্রতিদিনের গণতন্ত্রচর্চা নিশ্চিত করা হবে।

প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা হবে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।

যেখানে রাষ্ট্র নাগরিকদের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে এবং তাদের সফলতার জন্য সমর্থন জোগাবে, নাগরিকেরাও রাষ্ট্রের মালিকানা গ্রহণ করে তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

নতুন নাগরিকদের রাষ্ট্রে জনগণের সম্পত্তি, সেবা ও বিচারপ্রাপ্তি এবং সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে নিশ্চিত করা হবে।

যেহেতু ক্ষমতা দুর্নীতিপ্রবণ, যেমন সমসাময়িককালে দেখছি, দুর্নীতি এবং এর উৎস বন্ধ করতে কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে; ক্ষমতাসীন ও রাজনীতিকদের সুস্পষ্ট অবস্থান হবে দুর্নীতিবিরোধী এবং জনগণও সেখানে সচেতন ভূমিকা রাখবে।

ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণকে স্তব্ধ রাখতে ভোটাধিকার হরণ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে দলীয়করণ এবং গণমাধ্যমের মুখে ঠুসি পরিয়ে দিয়েছিল, যাতে এই শাসন দীর্ঘায়িত এবং জাতীয় সম্পদ লুট অব্যাহত রাখা যায়।

তাই বিপ্লবের সপক্ষের শক্তি মনে করে কোনো বাধাবিপত্তি ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য বলার নিশ্চয়তা থাকা অপরিহার্য।

নতুন শতাব্দীর দাবি ও চিন্তাধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নাগরিকদের সৃজনশীলতা ও সম্ভাবনা বিকাশের জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা গ্রহণ করবে, বিশেষত তরুণদের জন্য শিক্ষাগত ও পেশাগত সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে।  

বাংলাদেশ একটি সত্যিকারের স্বাধীন ও মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলো সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধিবিধান, ন্যায়বিচার ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।

একটি সার্বিক বিচারে উন্নত ও সুখী জাতি গঠনে, রাষ্ট্র জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে এবং সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করে, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ—গণমাধ্যম, শিক্ষা–সংস্কৃতিতে আলোকিত জনগোষ্ঠী ও সুশীল সমাজকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে, যাতে রাষ্ট্রের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।

বর্তমান প্রজন্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকারকে সম্মান করবে এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও নীতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের সুযোগ রাখবে, আজকের অর্জনগুলোকে ভবিষ্যতের জন্য উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাবে।  

খাজা মঈন উদ্দিন সাংবাদিক।  
[email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রন হক সিকদারের ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ 
  • রন হক সিকদারের নামে থাকা ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ
  • আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী: ধর্ম উপদেষ্টা
  • মিয়ানমারে যে কারণে চীনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বাড়ছে
  • ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব, দেরি হলে সংকট বাড়বে
  • আমরা যদি দুর্নীতি করি সেটাও আপনারা আমাদের দেখিয়ে দেবেন: দুদক চেয়ারম্যান
  • বরিশালে মুফতি ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে গণমিছিল
  • জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে বিএনপিই দেশ সংস্কার করবে: রিজভী
  • জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে যা যা থাকা উচিত