নাটোরে অটোরিকশায় ছাত্রলীগ কর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা
Published: 21st, April 2025 GMT
নাটোরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে (২৫) চলন্ত অটোরিকশায় পায়ের নিচে ফেলে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালের বাবা খায়রুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নাটোর নবাব সিরাজ উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এস এম জোবায়ের, নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রিমন হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নুহন খান নাঈম। এছাড়া অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ফয়সালকে মারধরের ঘটনায় তার বাবা সোমবার দুপুরে বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। রোববারই ঘটনাটি নজরে এলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে শহরের কানাইখালী এলাকায় নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সালকে চলন্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পাদানিতে ফেলে মারধর করা হয়। এ ঘটনার ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অটোরিকশায় শুইয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালের পিঠের ওপর জুতা পায়ে চেপে ধরে আছেন আরেক তরুণ। সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছেন। পায়ের নিচে থাকা ফয়সাল চিৎকার করে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। কিন্তু নির্যাতনকারী তরুণেরা তাতে সাড়া দিচ্ছেন না। এভাবেই শহরের প্রধান সড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার ওই তরুণকে ঘোরানো হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।