‘২০–২৫ রান কম’ করেও গিলদের হেলায় কলকাতা জয়
Published: 21st, April 2025 GMT
‘২০-২৫ রান কম করেছে গুজরাট টাইটানস’—ইডেনে গার্ডেনে আজ শুবমান গিলদের ইনিংসে শেষে এমনই মনে হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটি ১২.২ ওভারে ১১৪ রান এনে দেওয়ার পর ইনিংস শেষে স্কোরটা দ্বিগুণ না হওয়া তো ব্যর্থতাই। গুজরাট করতে পারেনি ২০০-ও, ইনিংস শেষ করে ৩ উইকেটে ১৯৮ রান তুলে। তবে এই রানই যথেষ্ট হয়েছে গুজরাটের। স্বাগতিক কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৩৯ রানে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে গুজরাট।
রান তাড়ায় ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানে থামে কলকাতা। অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ছাড়া বলার মতো রান পাননি অন্য কেউ। ২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর উইকেটে গিয়ে কলকাতা অধিনায়ক ৩৬ বলে করেছেন ৫০ রান। ১৩তম ওভারে রাহানে যখন বিদায় নিলেন ৪৫ বলে ১০৮ রান দরকার ছিল কলকাতার।
আন্দ্রে রাসেল ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ১০ বলে ১৭ রান তুলে একটু আশা জাগিয়েছিলেন। তবে গুজরাটের লেগ স্পিনার রশিদ খানে করা ১৬তম ওভারটা ম্যাচের ফল নিয়ে সংশয় পুরোপুরি দূর করে দেয়। ওভারের প্রথম ৪ বলে ১টি চার মারতে পারলেও অন্য তিনটি বল বুঝতেই পারেননি রাসেল। মরিয়া হয়ে সামনে গিয়ে মারতে গিয়ে পঞ্চম বলে স্টাম্পড হয়ে যান ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
পরের ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণা তিন বলের মধ্যে আরও ২ উইকেট তুলে নিয়ে কলকাতার স্কোরটাকে ১১৯/৭ বানিয়ে দেন। উইকেটে তখনো টিকে ছিলেন রিংকু সিং। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান (১৪ বলে ১৭ রান)। ২ উইকেট করে নিয়ে গুজরাটের সেরা বোলার প্রসিধ কৃষ্ণা ও রশিদ খান। দুজনই ৪ ওভারে দিয়েছেন সমান ২৫ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করা গুজরাট শুরুতে অতটা আক্রমণাত্মক হতে পারেনি। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৪৫ রান তুলতে পারেন শুবমান গিল ও সাই সুদর্শন। পরের ৬ ওভারে ৬৮ রান তুলে অবশ্য সেটি পুষিয়ে দিয়েছেন দুজন। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুদর্শন ফেরেন ৩৬ বলে ৫২ রান করার পর।
৫ ওভার পরে সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরত্বে আউট গিল। গুজরাট অধিনায়ক বৈভব অরোরার ফুল টসে ছক্কা মারতে গিয়ে কাউ কর্নারে ক্যাচ দিয়েছেন দলকে ১৭২ রানে রেখে। ৫৫ বলে ৯০ রান করার পথে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন ভারতীয় তারকা। গিলের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রান যোগ করা জস বাটলার অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। ২৩ বলের ইনিংসে ৮টি চার মারলেও ছক্কার দেখা পাননি ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘২০–২৫ রান কম’ করেও গিলদের হেলায় কলকাতা জয়
‘২০-২৫ রান কম করেছে গুজরাট টাইটানস’—ইডেনে গার্ডেনে আজ শুবমান গিলদের ইনিংসে শেষে এমনই মনে হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটি ১২.২ ওভারে ১১৪ রান এনে দেওয়ার পর ইনিংস শেষে স্কোরটা দ্বিগুণ না হওয়া তো ব্যর্থতাই। গুজরাট করতে পারেনি ২০০-ও, ইনিংস শেষ করে ৩ উইকেটে ১৯৮ রান তুলে। তবে এই রানই যথেষ্ট হয়েছে গুজরাটের। স্বাগতিক কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৩৯ রানে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে গুজরাট।
রান তাড়ায় ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানে থামে কলকাতা। অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ছাড়া বলার মতো রান পাননি অন্য কেউ। ২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর উইকেটে গিয়ে কলকাতা অধিনায়ক ৩৬ বলে করেছেন ৫০ রান। ১৩তম ওভারে রাহানে যখন বিদায় নিলেন ৪৫ বলে ১০৮ রান দরকার ছিল কলকাতার।
আন্দ্রে রাসেল ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ১০ বলে ১৭ রান তুলে একটু আশা জাগিয়েছিলেন। তবে গুজরাটের লেগ স্পিনার রশিদ খানে করা ১৬তম ওভারটা ম্যাচের ফল নিয়ে সংশয় পুরোপুরি দূর করে দেয়। ওভারের প্রথম ৪ বলে ১টি চার মারতে পারলেও অন্য তিনটি বল বুঝতেই পারেননি রাসেল। মরিয়া হয়ে সামনে গিয়ে মারতে গিয়ে পঞ্চম বলে স্টাম্পড হয়ে যান ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
পরের ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণা তিন বলের মধ্যে আরও ২ উইকেট তুলে নিয়ে কলকাতার স্কোরটাকে ১১৯/৭ বানিয়ে দেন। উইকেটে তখনো টিকে ছিলেন রিংকু সিং। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান (১৪ বলে ১৭ রান)। ২ উইকেট করে নিয়ে গুজরাটের সেরা বোলার প্রসিধ কৃষ্ণা ও রশিদ খান। দুজনই ৪ ওভারে দিয়েছেন সমান ২৫ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করা গুজরাট শুরুতে অতটা আক্রমণাত্মক হতে পারেনি। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৪৫ রান তুলতে পারেন শুবমান গিল ও সাই সুদর্শন। পরের ৬ ওভারে ৬৮ রান তুলে অবশ্য সেটি পুষিয়ে দিয়েছেন দুজন। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুদর্শন ফেরেন ৩৬ বলে ৫২ রান করার পর।
৫ ওভার পরে সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরত্বে আউট গিল। গুজরাট অধিনায়ক বৈভব অরোরার ফুল টসে ছক্কা মারতে গিয়ে কাউ কর্নারে ক্যাচ দিয়েছেন দলকে ১৭২ রানে রেখে। ৫৫ বলে ৯০ রান করার পথে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন ভারতীয় তারকা। গিলের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রান যোগ করা জস বাটলার অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। ২৩ বলের ইনিংসে ৮টি চার মারলেও ছক্কার দেখা পাননি ইংলিশ ব্যাটসম্যান।