পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় মারা গেছেন। এক যুগের বেশি ক্যাথলিক চার্চের প্রধান যাজক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য প্রায় সব নেতাই শোক প্রকাশ করেছেন।

সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের বিশেষ দরদ ছিল। তাঁদের উন্নতির জন্য তিনি সব সময় কথা বলেছেন। বিশ্ব শান্তি ও পরিবেশ রক্ষায়ও তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধ বন্ধে তিনি প্রায় সময় আহ্বান জানাতেন।

এক শোকবার্তায় ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবর আমার জন্য একটি বড় ধাক্কা। আমরা একজন মহান ব্যক্তি ও অভিভাবককে হারালাম। তাঁর বন্ধুত্ব, উপদেশ ও শিক্ষা লাভের সুযোগ আমার হয়েছিল। নিজের খারাপ সময়েও তিনি আমাকে উপদেশ দেওয়া অব্যাহত রেখেছিলেন। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি তাঁকে বিদায় জানাচ্ছি।’

পোপ ফ্রান্সিস ১৯৩৬ সালে আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আজ সকালে পোপ ফ্রান্সিসের (জর্জ বারগোগ্লিও) মৃত্যুর খবর জেনে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। তিনি শান্তিতে থাকুন। তাঁর সঙ্গে কিছু মতপার্থক্য ছিল, যা আজ গৌণ মনে হচ্ছে। তিনি ছিলেন এক প্রাজ্ঞ ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ ছিল আমার জন্য সম্মানের।’

দুঃসময়ে পোপ ফ্রান্সিস সব সময় পাশে ছিলেন জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধ ও নিষ্ঠুরতার সময়ে সবচেয়ে অসহায় মানুষের পক্ষে কথা বলতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর শূন্যতা বিশ্বের ক্যাথলিক সমাজের পাশাপাশি ফ্রান্সেও দারুণভাবে অনুভূত হবে।’

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রার্থনা করছেন এক নারী। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসের মেট্রোপলিটন ক্যাথিড্রালের ভেতরে, ২১ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশকেই পিছিয়ে রাখছেন জিম্বাবুয়ের বেনেট

‘এখানেই করে ফেলবেন?’—মাঠে জিম্বাবুয়ের কোনো প্রতিনিধির সংবাদ সম্মেলনে আসার অপেক্ষায় থাকা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বললেন দলটির ম্যানেজার লাভমোর বান্দা। মুচকি হাসিটা তাঁর মুখে লেগে আছে তখনো।

তবে গম্ভীর মুখ ছিল সাংবাদিকদের সামনে আসা ব্রায়ান বেনেটের। নাহিদ রানার বলে আউট হয়ে যাওয়ার ঘটনাটাই মনে পড়ে কি না, কে জানে!

পাঁচ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি তিনি আজ পেয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। এত অল্পতেই  অবশ্য তাঁর খুশি হওয়ার কথা নয়—টেস্ট শতকের দেখা ইতিমধ্যেই পেয়ে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান আজও নিশ্চয়ই পৌঁছাতে চেয়েছিলেন তিন অঙ্কেই। নাহিদের বলে কাট করতে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো জাকের আলীর হাতে।

দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নাহিদকে খেলার অভিজ্ঞতার কথা শোনাচ্ছিলেন বেনেট, ‘তাঁর বলে গতি আছে, কিন্তু আমার মনে হয় যত জোরে বল আসে, তত আমি মারতে পারি। বিষয়টা হচ্ছে বলটা শেষ পর্যন্ত দেখা। আজকে আমার কাট শটগুলো একদম ঠিকঠাক ছিল। আমার মনে হয় ওই বলটাতে (আউট হওয়ার) প্রয়োগে ভুল হয়েছে।’

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ১৯১ রানে অলআউট করে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর দলটি পায় ৮২ রানের লিড। দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশ অবশ্য পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। এই অবস্থায় কাকে এগিয়ে রাখছেন বেনেট?

তাঁর উত্তর, ‘আমার মনে হয় খেলাটা এখন ভারসাম্যপূর্ণ জায়গায় আছে। আমাদের মনে হচ্ছে বিকেলে ওই উইকেটটা নেওয়ার পর আমরাই এগিয়ে আছি। কালকের দিনটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাল সকালে শক্তভাবে ফিরতে হবে। আশা করি তারা আমাদের বড় কোনো লক্ষ্য দিতে পারবে না।’

শেষ বিকেলে দুটি ক্যাচ ছেড়েছেন জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা। তা না হলে আরেকটু এগিয়েই থাকার কথা ছিল জিম্বাবুয়ের।

এখনো অবশ্য জিম্বাবুয়ের জয়ের সুযোগটা ভালোভাবেই দেখছেন বেনেট, ‘আমার মনে হয় জেতার ভালো সুযোগই আমাদের আছে। এখনো ২০-৩০ রানে এগিয়ে আছি। বোলাররা আজ রাতে বিশ্রাম পাবে। তারা কাল শক্ত লড়াই করবে। আপনি জানেন না কী ঘটবে। এখনো এই টেস্টে অনেকটা সময় বাকি আছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ