Risingbd:
2025-04-21@17:23:31 GMT

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড 

Published: 21st, April 2025 GMT

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড 

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম বাড়তে শুরু করেছে, ফলে দেশের বাজারে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) দেশের বাজারে ১ ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকায়।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানায়, স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা ২২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী:

২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম: ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা

২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম: ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা

১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম: ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা

সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম: ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা

এদিকে, রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্বের সোনার বাজারে অস্থিরতার কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপকে দায়ী করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে, যার প্রভাব বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য হটলাইন চালুর ঘোষণা পুলিশের

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জরুরি যোগাযোগের জন্য হটলাইন সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। হটলাইন নম্বরে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপত্তাজনিত যেকোনো সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো এবং দ্রুত সহায়তা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।

সম্প্রতি গাজায় হামলা নিয়ে বিক্ষোভের সময় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজিপি ও বিডা চেয়ারম্যান। বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল– নেসলে বাংলাদেশ, কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, বাটা সু কোম্পানি বাংলাদেশ, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ, পেপসিকো ও জুবিল্যান্ট ফুড ওয়ার্কস বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৭ ও ৮ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন শহরে এসব কোম্পানির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রায় এক ডজন মামলা হয়েছে।

বৈঠকে বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আইজিপি, জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও বিডার কর্মকর্তাদের একসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বসা শুধু সময়োপযোগী নয়, নজিরবিহীন। এটি কেবল একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়। এটি এক ধরনের বার্তা যে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের পাশে আছে, বিশেষ করে যখন চ্যালেঞ্জ আসে।’

তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো হাজার হাজার কর্মজীবী ও তাদের পরিবারের জীবিকার উৎস। প্রতিবাদের অধিকার আছে, কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মসংস্থান, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে, সেগুলো ধ্বংস করা কোনো সমাধান নয়। পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন বিডা চেয়ারম্যান।

প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি ও কার্যক্রমে বিঘ্ন নিয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আইজিপি বাহারুল আলম বিনিয়োগকারীদের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য এখানে আসিনি, বরং আস্থা গড়ে তুলতে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এসেছি।’

এ আলোচনার ফলে বিডা, পুলিশ ও ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে একটি প্রতিরোধ পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন নিরাপত্তা প্রটোকল, দ্রুত সাড়া দেওয়া ইউনিট এবং সংকটকালে উন্নত যোগাযোগ চ্যানেল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ