চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার সিইউএফএল বাজার ও আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিনের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সরওয়ার জামাল নিজামের অনুসারীরা এ সংঘর্ষে জড়ান।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ১০টার দিকে সিইউএফএল বাজারে সরওয়ার জামাল নিজামের অনুসারী বিএনপির কর্মী আবদুল গফুরের বাগ্‌বিতণ্ডা হয় হেলাল উদ্দিনের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গাজী মো.

ফোরকানের সঙ্গে। একপর্যায়ে দুজনের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ান। এতে আবদুল আবদুল গফুর আহত হন এবং তাঁকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে ওই ঘটনার পর ওই রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান চৌধুরীসহ নেতা-কর্মীরা আবদুল গফুরকে নিয়ে আনোয়ারা থানায় একটি অভিযোগ দিতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আবারও দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত দুইটার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের তিনজন সদস্যও আহত হন। ওই সময় একটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় জনতা দেশীয় অস্ত্রসহ মো. সুজন নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।

দলীয় সূত্র জানায়, পারকি সৈকতসংলগ্ন এলাকায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বালু ও পাথর সরবরাহ নিয়ে দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

সরওয়ার জামাল নিজামের অনুসারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘রোববার রাত ১০টার সময় আবদুল গফুর তাঁর ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরা সিইউএফএল বাজার পর্যন্ত গিয়ে গাড়ি থামিয়ে বাজারে নামেন। ওই সময় আবদুল গফুরকে আক্রমণ করে গাড়ি ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে প্রতিবাদ মিছিল শেষ করে থানায় মামলা করতে যাই আমরা। মামলা শেষে ফেরার পথে আনোয়ারা হাসপাতালের সামনে যুবদল নেতা নুরুল কবির ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গাজী ফোরকানের নেতৃত্বে ফের হামলা করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।’

তবে, এ ঘটনা অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিনের অনুসারী যুবদল নেতা নুরুল কবির বলেন, আবদুল গফুর একটি গাড়িতে করে ফ্যাসিবাদের দোসরকে বহন করে শহরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। খবর পেলে জনতা সিইউএফএল বাজারে গাড়ি আটকে দেয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করে। পরে তাঁরা মোটরসাইকেল, গাড়িবহরসহ অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে থানায় যান। খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা আবারও প্রতিরোধ করলে এ ঘটনা ঘটে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনির হোসেন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় বলেন, ‘বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় একজন আটক আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’

জানতে চাইলে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি মো. সোহানুর রহমান বলেন, রাতের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র দ ই ন র অন স র স ঘর ষ সদস য এ ঘটন ঘটন য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার সিইউএফএল বাজার ও আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিনের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সরওয়ার জামাল নিজামের অনুসারীরা এ সংঘর্ষে জড়ান।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ১০টার দিকে সিইউএফএল বাজারে সরওয়ার জামাল নিজামের অনুসারী বিএনপির কর্মী আবদুল গফুরের বাগ্‌বিতণ্ডা হয় হেলাল উদ্দিনের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গাজী মো. ফোরকানের সঙ্গে। একপর্যায়ে দুজনের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ান। এতে আবদুল আবদুল গফুর আহত হন এবং তাঁকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে ওই ঘটনার পর ওই রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান চৌধুরীসহ নেতা-কর্মীরা আবদুল গফুরকে নিয়ে আনোয়ারা থানায় একটি অভিযোগ দিতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আবারও দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত দুইটার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের তিনজন সদস্যও আহত হন। ওই সময় একটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় জনতা দেশীয় অস্ত্রসহ মো. সুজন নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।

দলীয় সূত্র জানায়, পারকি সৈকতসংলগ্ন এলাকায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বালু ও পাথর সরবরাহ নিয়ে দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

সরওয়ার জামাল নিজামের অনুসারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘রোববার রাত ১০টার সময় আবদুল গফুর তাঁর ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরা সিইউএফএল বাজার পর্যন্ত গিয়ে গাড়ি থামিয়ে বাজারে নামেন। ওই সময় আবদুল গফুরকে আক্রমণ করে গাড়ি ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে প্রতিবাদ মিছিল শেষ করে থানায় মামলা করতে যাই আমরা। মামলা শেষে ফেরার পথে আনোয়ারা হাসপাতালের সামনে যুবদল নেতা নুরুল কবির ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গাজী ফোরকানের নেতৃত্বে ফের হামলা করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।’

তবে, এ ঘটনা অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিনের অনুসারী যুবদল নেতা নুরুল কবির বলেন, আবদুল গফুর একটি গাড়িতে করে ফ্যাসিবাদের দোসরকে বহন করে শহরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। খবর পেলে জনতা সিইউএফএল বাজারে গাড়ি আটকে দেয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করে। পরে তাঁরা মোটরসাইকেল, গাড়িবহরসহ অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে থানায় যান। খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা আবারও প্রতিরোধ করলে এ ঘটনা ঘটে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনির হোসেন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় বলেন, ‘বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় একজন আটক আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’

জানতে চাইলে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি মো. সোহানুর রহমান বলেন, রাতের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ