পহেলা মে থেকে সারাদেশে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার
Published: 21st, April 2025 GMT
পহেলা মে থেকে সারাদেশে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা প্রত্যাহার করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
সোমবার বিকেলে সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ছাড়াও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) নেতৃবৃন্দ ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১০ থেকে ১২ জন প্রান্তিক ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী খামারিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অধিদপ্তরের ডিজি খামারিদের ১০ দফা দাবি ও বাস্তব সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিন সভায় বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজিকে ‘শাহরুখ স্মারকলিপি’ নামক একটি লিখিতও দাবি প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজি মহোদয় খাদ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ডিম-মাংসের ন্যায্য মূল্য বাস্তবায়নে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় পোলট্রি খাদ্যের দাম কেজিপ্রতি ১ থেকে দেড় টাকা পর্যন্ত কমেছে। পাশাপাশি ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের মূল্য নির্ধারণে তদন্ত চলছে। এতে ভবিষ্যতে আরও দাম কমতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএ জানায়, সরকারের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে সভায় উপস্থিত সব প্রান্তিক খামারি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাই সরকারের প্রতি আস্থা রেখে এবং জনগণের স্বার্থে ঘোষিত ১ মে থেকে খামার বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রান্তিক খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১ মে থেকে দেশের সব খামার পুরোদমে চালু রাখার পাশাপাশি খামারিদের সরকারের সব নিয়মকানুন মেনে বৈধভাবে খামার পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। তবে আগামী দিনে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেয়া ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সংক্ষিপ্ত ১০ দফা দাবিগুলো হলো-
১) জাতীয় মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করতে হবে।
২) সরকারিভাবে ফিড মিল ও হ্যাচারি স্থাপন করতে হবে।
৩) কোম্পানির কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪) স্বাধীন বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে হবে।
৫) ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনর্বাসন করতে হবে।
৬) খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।
৭) জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
৮) সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৯) প্রশাসনিক অভিযান চালিয়ে ন্যায্য বাজার নিশ্চিত করতে হবে।
১০) জাতীয় বাজেটে প্রান্তিক খামারিদের বরাদ্দ ও সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান স্নাতকের (পাস) সমান করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকালে রংপুর নগরীতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিভিন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নগরীর সাধারণ ডিপ্লোমা নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও ইন্টার্ন শিক্ষার্থীরা স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন। এরপর সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি রেজওয়ান হোসেন, শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক (পাস) কোর্সের সমমানের স্বীকৃতির জন্য দাবি জানিয়ে আসছি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ২০ আগস্ট স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ যৌক্তিক দাবির পক্ষে নীতিনির্ধারকরা সহমত পোষণ করলেও
এখন পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবি মানা না
হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয় কর্মসূচি থেকে।