হাজিদের জন্য বাড়িভাড়া নেওয়ার কাজ শতভাগ সম্পন্ন
Published: 21st, April 2025 GMT
এ বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরবে থাকার জন্য বাড়িভাড়া নেওয়ার কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মো. মতিউল ইসলাম। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সৌদি পাসপোর্ট বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালেহ বিন সাদ আল মুরাব্বা ১১ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো.
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মতিউল ইসলাম বলেন, গত বছর ১০০–এর কম যাত্রীর ব্যাগ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, এবার যেন সেটি না হয় সে জন্য আরএফআইডি (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাগের অবস্থান শনাক্তের ব্যবস্থা থাকবে। ফলে এবার সেটি সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। সৌদি আরব এ সুবিধা দেবে।
এ সময় মতিউল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়া নেওয়ার কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও জানান, ভিসা নিয়ে কোনো জটিলতার শঙ্কা নেই, ভিসা পাওয়ার হার ভালো।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে কথা বলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের মহাপরিচালক নূরুল আনোয়ার। সৌদি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হাজিদের হজযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের আওতায় হাজিদের জন্য যে সুযোগ-সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
নূরুল আনোয়ার বলেন, মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের আওতায় হাজিদের ঢাকাতেই ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করা হয় এবং সৌদি আরবে হাজিদের থাকার জায়গায় লাগেজ পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। তবে এ সুবিধা পাবেন শুধু হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাওয়া হজযাত্রীরা। দেশের অন্য বিমানবন্দরেও এ সুবিধা চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ৭৭ হাজার ১০০ হজযাত্রী হজে যাবেন। বাকি ১০ হাজার হজযাত্রী দেশের অন্য বিমানবন্দর হয়ে সৌদি আরবে যাবেন। এ বছর ৮৭ হাজার ১০০ হজযাত্রীর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অন্যতম কর্মসূচি পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ২০২২ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ নামের উদ্যোগটি নেয় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই উদ্যোগে বাংলাদেশ, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও আইভরি কোস্ট—এই ৭টি দেশের ১১টি বিমানবন্দরে ডেডিকেটেড লাউঞ্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪২৩ জন যাত্রী নিয়ে রিয়াদ গেল ইউএস-বাংলার প্রথম ফ্লাইট
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সোমবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ৪২৩ জন যাত্রী নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৪তম আন্তর্জাতিক গন্তব্য রিয়াদের উদ্দেশে যাত্রা করে।
প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে রিয়াদে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, ইউএস-বাংলা ঢাকা থেকে রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রিয়াদের উদ্দেশে ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং রিয়াদে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে অবতরণ করবে। এরপর রিয়াদ থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভোর ৪টায় অবতরণ করবে।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দার পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরাসরি ঢাকা থেকে রিয়াদে ফ্লাইট শুরু করেছে। এছাড়া রেমিট্যান্সযোদ্ধারা যেন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো গন্তব্যে স্বল্পতম সময়ে আসতে পারেন সে ব্যাপারে যত্নশীল থাকবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জেদ্দা, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট শুরুর আগ মুহূর্তে উদ্বোধনী ফ্লাইটের যাত্রী ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সবার মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়।