রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম রানা (৩০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন ওরফে রানা বরগুনার পাথরঘাট এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে। তিনি মাদারিপুরের মো.

দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুরভী আক্তারকে বিয়ে করে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো। 

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সামছুল আরেফিন টুটুল বলেন, ২০২০ সালের ৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় পারিবারিক নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম রানা তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। সেই সাথে তার স্ত্রী সুরভী আক্তার পরিবারের সদস্যদের আত্মহত্যার কথা জানিয়ে আসার কথা বলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে সুরভী আক্তারের পরিবারের সদস্যরা এসে তার লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় সুরভী আক্তারের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে গৃহবধুর আত্মহত্যা, স্বামী-শাশুড়ি গ্রেপ্তার  

রূপগঞ্জে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে লামিয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে লামিয়ার স্বামী ও শাশুড়িকে আসামী করে থানায় আত্মহত্যার পরোচনায় মামলা দায়ের করেন। 

ওই মামলায় স্বামী মো. শাওন (২২) ও শ্বাশুড়ি ফাতেমা বেগমকে (৫৫) গ্রেফতার করে রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের রূপসী কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিবার জানা যায়, গত ৪ বছর আগে তারাব পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের রূপসী কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেনের মেয়ে লামিয়া আক্তার ও প্রতিবেশি তারা মিয়ার ছেলে শাওনের পারিবারিক ভাবে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। 

তাদের দাম্পত্য জীবনের আরিয়ান নামে ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই লামিয়ার স্বামী শাওন ও শাশুড়ি ফাতেমা বেগম লামিয়াকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। গতকাল শনিবারও স্বামী ও শাশুড়ি মিলে লামিয়ার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে এবং আত্মহত্যার পরোচনা দেয়। 

একপর্যায়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামীর বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয় লামিয়া। পরে মেয়ের জামাই ও শাশুড়ি মিলে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে মেয়ের গলায় ও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে পুলিশে খবর দিলে লামিয়ার স্বামী ও শাশুড়ি কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন নিহতের পরিবার।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং নিহতের বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার পরোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করলে ওই মামলার নামীয় আসামী নিহতের স্বামী শাওন ও শাশুড়ি ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পেটানোর নির্দেশ দিলেন টিপু
  • নারায়ণগঞ্জে আন্দোলিব রহমান পার্থের জম্মদিনে দোয়া 
  • নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিলের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ
  • নারায়ণগঞ্জ থেকে বাসে ঝুলে নাটক করতে আসা অভিনেতার একাল–সেকাল
  • আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতা সাগর হাসান গ্রেপ্তার
  • আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাগর হাসান গ্রেপ্তার
  • সড়ক অবরোধ করে ফতুল্লায় ট্রাকস্ট্যান্ড সরানোর দাবি
  • আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন’র ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
  • রূপগঞ্জে গৃহবধুর আত্মহত্যা, স্বামী-শাশুড়ি গ্রেপ্তার