আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া কেসিসি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
Published: 21st, April 2025 GMT
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স অফিসার রবিউল আলম রবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নগর ভবনের কর আদায় শাখা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে জিরো পয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেন রবি। মিছিলে সিটি কর্পোরেশনের স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলে করে অংশ নেন তিনি। কেসিসির সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের আস্থাভাজন হিসেবে রবি পরিচিত।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে নগর ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে বাস থেকে মাথার খুলি-হাড় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা
দীর্ঘদিনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তিন দফা দাবিতে কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন বৃত্তি বাজেটে অর্ন্তভূক্ত করা; পুরান ঢাকায় হাবিবুর রহমান হল ও বানী ভবনের নির্মান কাজ দৃশ্যত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শুরু করা; দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণের কাজের অগ্রগতি প্রতি ১৫ দিন পর পর মুক্তমঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রদান করতে হবে।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে দায়িত্বে অবহেলায় ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি
পারভেজ হত্যা: দোষীদের গ্রেপ্তার-বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
এছাড়াও তারা আগামী সাতদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেগুলো হলো- ২২ এপ্রিল কাঁথা বালিশ কর্মসূচি ও লিফলেট বিতরণ, ২৩ এপ্রিল উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে আলোচনা এবং ২৫ ও ২৬ এপ্রিল খোলাচিঠি ও অনলাইনে প্রচারণা। বাকি দুই দিনের কর্মসূচি ২৬ এপ্রিল জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকে শিক্ষার্থীরা কাঁথা ও বালিশ নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করবেন। তারা সেখানে রাত্রিযাপন করবেন এবং তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলোর জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শুনছেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। কাঁথা-বালিশ নিয়ে আসা মানে হলো, আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে সরব না।”
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী