খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে ৩ মামলায় ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৩০ জনকে আসামি করেছে পুলিশ। মামলায় দুপুর পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রোববার রাতে নগরীর হরিণটানা, আড়ংঘাটা ও খালিশপুর থানায় মামলা ৩টি দায়ের করা হয়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, তিনটি মামলার বাদী পুলিশ। এসব মামলায় দুপুর পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

কেএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহা.

আহসান হাবীব জানান, হরিণটানা থানার এস আই মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই থানায় বিকাল পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

খালিশপুর থানার এস আই রতন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে। এ মামলায় মোট ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আড়ংঘাটা থানার এস আই ইসতিয়াক আহমেদ বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ জনকে। এছাড়া নগরীর সদর থানা পুলিশ নগর ভবন থেকে কেসিসির লাইসেন্স অফিসার রবিউল আলম রবিকে গ্রেপ্তার করেছে।

কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা এস কে তাছাদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিলে কেসিসির স্টিকার লাগানো মটর সাইকেলে করে রবির অংশ নেওয়ার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরের পরে জানতে পারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসককে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা নগরীর ৪টি স্থানে পৃথক পৃথক ঝটিকা মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের মহড়া’ শুরু

প্রায় ১৪ হাজার ফিলিপিনো ও মার্কিন সেনা আজ সোমবার বার্ষিক যৌথ মহড়া ‘বালিকাতান’ শুরু করেছেন। এ মহড়া সামরিক চুক্তির আওতায় থাকা দুই মিত্রদেশের ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ অনুশীলন’ হিসেবে বিবেচিত। এমন এক সময়ে এ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা চলছে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

বালিকাতান শব্দের অর্থ কাঁধে কাঁধ মেলানো। এ বার্ষিক মহড়া চলবে আগামী ৯ মে পর্যন্ত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে এনএমইএসআইএস অ্যান্টিশিপ মিসাইল ও এইচআইএমএআরএস রকেট লঞ্চার।

গণমাধ্যমকে জানানো হয়, ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রায়োগিক মহড়ার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র পক্ষের মহড়ার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেমস গ্লিন এ বছরের মহড়াকে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ প্রস্তুতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ মহড়ায় বিভিন্ন দৃশ্যপটে দুই পক্ষের সক্ষমতা যাচাই করা হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, সমুদ্রপথে আক্রমণ রুখে দেওয়া এবং সমুদ্রে আঘাত হেনে ফিলিপাইন নৌবাহিনীর একটি অব্যবহৃত যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার মতো কার্যক্রম এ অনুশীলনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গ্লিন আরও বলেন, ‘এ পূর্ণাঙ্গ সামরিক অনুশীলন চালানোর উদ্দেশ্য হলো, আজকের দিনে আমরা যে আঞ্চলিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছি, সেগুলোর সব কটিকে মাথায় রাখা, যার শুরু হচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ