কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের বাবার মৃত্যুর পর স্ত্রী রিয়া মনিকে বয়কটের ঘোষণা দেন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরা নানা আলোচনা সমালোচনা করছেন। এই বিষয় নিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে তসলিমা নাসরিন স্ত্রীর সঙ্গে হিরো আলমের ভুল বোঝাবুঝিকে ‘পুরুষতান্ত্রিকতা’ অ্যাখ্যা দিয়ে কটাক্ষ করেছেন।

রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তসলিমা নাসরিনের পোস্টটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

“মাঝে মাঝে ভাবি রিয়ামণির মতো স্মার্ট মেয়ে কী কারণে হিরো আলমের মতো একটা লোককে বিয়ে করেছিল! হিরো আলমের টাকা আছে বলে? ভেবেছিলাম অন্য কোনও গুণ না থাকলেও একটি গুণ হিরো আলমের হয়তো আছে, মেয়েদের হয়তো ব্যক্তি হিসেবে সম্মান করে সে। প্রচুর মানুষের সঙ্গে মিশেছে সে, তার নাম হয়েছে, তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। হয়তো জীবন সম্পর্কে ধারণা এখন আগের চেয়ে স্পষ্ট হয়েছে, হয়তো যতটা উদার ছিল, সংবেদনশীল ছিল, তার চেয়ে আরও বেশি হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

হিরো আলমকে মারধর, ৫ আসামি পেলেন জামিন

আদালত চত্বরে মারধর: থানায় অভিযোগ দি‌লেন হি‌রো আলম

“কিন্তু দেখলাম আমি ভুল ভেবেছিলাম। রিয়ামণির বিরুদ্ধে যেভাবে সে নোংরা ভাষায়  কথা বলছে, যেভাবে তাকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, যেভাবে তাকে হিংস্র আক্রমণ করছে, কট্টর পুরুষতান্ত্রিক না হলে করা যায় না। রিয়ামণি যেহেতু স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘরের বাইরে গিয়েছে, যেহেতু স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে ভিডিও বানিয়েছে, যেহেতু হাসপাতালে গিয়ে স্বামীর বাবার সেবাযত্ন করেনি, যেহেতু তার বাবার পাশে বসে থাকেনি রাত দিন, যেহেতু বাবার মৃত্যু হলে শিয়রে বসে অঝোরে কাঁদেনি, সেহেতু হিরো আলম জানিয়ে দিয়েছে রিয়ামণির মতো  স্ত্রী সে চায় না। এমন চরম নারীবিদ্বেষী চরিত্রকে লোকে বাহবা দেবে, তার কাছ থেকে শিখবে যে স্ত্রী মানেই চাকরানী, স্ত্রী মানেই দাসি। শিখবে,  স্ত্রীর দায়িত্ব  স্বামী এবং স্বামীর আত্মীয় স্বজনকে সেবা করা, স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘরের বাইরে না বেরোনো, নিজের ইচ্ছে ছুড়ে ফেলা, নিজের কাজ পণ্ড করা, নিজের জীবন বিসর্জন দেওয়া। হিরো আলম জনগণকে শেখাচ্ছে যে  স্বামী পরকীয়া করলেও স্ত্রীকে পতিব্রতা স্ত্রী হিসেবে স্বামীর আদেশ নির্দেশ পালন করতে হবে, কারণ স্বামী হলো প্রভু, আর স্ত্রী জিনিসটি দাসি শুধু নয়, ক্রীতদাসী।”

“রিয়ামণি, আমার বিশ্বাস, এই নোংরা নারীবিদ্বেষী সমাজে পাছে লোকে কিছু বলের তোয়াক্কা না করে  নিজের পরিচয় নিয়ে, নিজের যোগ্যতায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।”

তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্ট

এর আগে বাবার মৃত্যুর সময় পাশে না থাকার অভিযোগ তুলে স্ত্রী রিয়ামণির সঙ্গে সংসার না করার ঘোষণা দেন হিরো আলম। তার অভিযোগ, মুমূর্ষু বাবাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে প্রায় এক মাস অবস্থান করলেও স্ত্রী রিয়ামণি বাবাকে দেখতে আসেননি, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে লাশও দেখতে আসেননি।

গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক মারা যান। গত বুধবার বগুড়ার এরুলিয়ায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এরপর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ত্রী রিয়ামণিকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বয়কটের ঘোষণা দেন। এ নিয়ে রিয়ামণি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিরো আলমকে পাল্টা দোষারোপ করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী রিয়ামণির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন হিরো আলম।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ র আলম র য় মণ র আলম র

এছাড়াও পড়ুন:

মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন, চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে সরাসরি ভোট না করার সুপারিশ

স্থানীয় সরকার কাঠামো এবং নির্বাচন পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন জনগণের সরাসরি ভোটে না করে প্রথমে সদস্য বা কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত করা হবে। পরে নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সদস্যদের ভোটে চেয়ারম্যান ও মেয়র নির্বাচন করা হবে। সদস্য বা কাউন্সিলর পদে পূর্ণকালীন সদস্যের পাশাপাশি খণ্ডকালীন সদস্য রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সরকারি চাকরিজীবীরাও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে সদস্য বা কাউন্সিলর হওয়ার সুযোগ পাবেন।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরপর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয় সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান স্থানীয় সরকার–বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে কমিশনের সুপারিশগুলো সাংবাদিকদের দেওয়া হয়। কমিশন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করারও সুপারিশ করেছে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠাগুলোর কাঠামোর বিষয়ে বলতে গিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে তাঁরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনব্যবস্থার বিষয়টি চিন্তা করেছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচন করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হয় না। এখানেও সব স্তরে (ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন) শুধু সদস্য ও কাউন্সিলর নির্বাচন হবে। একই তফসিলে এই নির্বাচন করা যাবে। এরপর সভাপতি নির্বাচন করা হবে। এটি হলো বিধানিক অংশ। এরপর সভাপতির সভাপতিত্বে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন করা হবে। তারপর চেয়ারম্যান বা মেয়র তিনজন বা পাঁচজনের একটি পূর্ণকালীন কাউন্সিল করবেন। তাঁরা পূর্ণকালীন কাজ করবেন এবং পূর্ণকালীন বেতন-ভাতা পাবেন। আর বাকি যাঁরা আসবেন, তাঁরা খণ্ডকালীন। তাঁরা স্থায়ী কমিটির সভাপতি-সদস্য হবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভ্যাটিকান থেকে ওড়া ধোঁয়ায় কীভাবে বোঝা যায় নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন
  • ট্রেনে যৌন হয়রানির ঘটনার বিবরণ দিলেন অভিনেত্রী
  • শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন
  • সাবেক এমপি আনার হত্যার প্রতিবেদন ফের পেছাল
  • মেঘনার মুক্তি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ২৭ বিশিষ্ট নারীর
  • মেঘনার মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন ২৭ বিশিষ্ট নারী
  • মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন, চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে সরাসরি ভোট না করার সুপারিশ
  • দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান
  • কটিয়াদী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে