খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান
Published: 21st, April 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী অপহরণের ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে দিনরাত অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে টানা অভিযানের ফলে ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে যৌথবাহিনী।
সোমবার ভোরে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ভাই-বোনছড়ার পূর্ণ চন্দ্র কারবারিপাড়া এলাকার একটি তালাবন্ধ টিনসেটের ঘরে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় কাউকে আটক করতে না পারলেও চাঁদা আদায়ের রশিদ, ল্যাপটপ, মোবাইল, সামরিক ইউনিফর্মসহ বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানায়, সোমবার ভোর ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ভাই-বোনছড়ার পূর্ণ চন্দ্র কারবারিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। পরে তালাবন্ধ টিনেসেটের ঘরের তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় যৌথবাহিনী। এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত তিন জোড়া পোশাক, ১৯টি ইউনিফর্মের প্যান্ট, পিস্তলের গুলি, ক্যাপ, ১টি ল্যাপটপ, কয়েকটি ওয়াকি-টকি সেট, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি মাইক্রোফোন, নেট, ১টি ক্যামেরা, ১টি প্রিন্টার, সেলাই মেশিন, তাঁবু, জিম্মি করে রাখার লোহার চেইন, খাবারের তৈজসপত্র ও খাবারের কাঁচামাল, প্রোপাগান্ডা সামগ্রী, সন্ত্রাসীদের চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
দুর্গম এলাকার এই গোপন আস্তানা থেকেই ইউপিডিএফ তাদের চাঁদাবাজি, অপহরণসহ তাদের সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসময় যৌথবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে দরকার হলে প্রতিটি এলাকায় ইঞ্চি ইঞ্চি করে তল্লাশি করা হবে এবং অপহৃতরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এরই মধ্যে চবির পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণের ছয় দিন অতিবাহিত হলেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তবে অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উদ ধ র অভ য ন অপহ ত
এছাড়াও পড়ুন:
চীন মালিকানাধীন ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, কোটি টাকার মালামাল লুট
গাজীপুরের কাশিমপুর মেট্রো থানার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে চীনের মালিকানাধীন টাইগার ব্যাটারি নামে একটি ব্যাটারি তৈরির কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাকাত দল নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ব্যাটারি তৈরির কারখানার দেয়াল টপকে প্রথমে ৫ ডাকাত কারখানার ভিতরে ঢুকে তিন নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের হাত পা বেঁধে চট দিয়ে ঢেকে রাখে। এসময় নিরাপত্তাকর্মীদের কাছ থেকে গেট ও কারখানার প্রবেশদ্বারের চাবি নিয়ে কারখানা খুলে। এসময় বাইরে একটি পিকআপভ্যানে থাকা আরো ১০ জন ডাকাত কারখানায় ভেতরে ঢুকে মালামাল লুট করে পিকআপ ভ্যানে তুলতে থাকে।
ডাকাত সদস্যরা ব্যাটারি তৈরি মালামাল, তৈরি ব্যাটারি, দুটি ল্যাপটপ ও সাতটি কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা ডিভাইসসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
কারখানার চায়না পরিচালক ইউই জু’এর সহকারী দুভাষী সুমন মিয়া বলেন, রাত তিনটার দিকে ডাকাতির খবর পেয়ে কারখানায় যাই। কারখানায় গিয়ে দেখি ডাকাতরা নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর ও হাতপা বেঁধে রেখে কারখানার ব্যাটারি তৈরির মালামাল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল বক্সসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
কাশিমপুর মেট্রো থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য আমাদের পুলিশ টিম কাজ করছে। শিগগির মালামালসহ ডাকাত সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হবো।