বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত ই-মেইল সেবার মধ্যে অন্যতম গুগলের জিমেইল। ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেস ও বহুস্তর নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এটি ব্যবহারকারীদের আস্থার জায়গা হয়ে আছে। তবে এতসব সুরক্ষাব্যবস্থার মধ্যেও জিমেইলকে কেন্দ্র করে চালানো হচ্ছে নতুন ধরনের এক ফিশিং হামলা।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিক ডট ইথ নামের এক ব্যবহারকারী (ইউজারনেম: @নিকএসডি জনসন) জানান, তিনি গুগলের একটি সাবডোমেইন ব্যবহার করে পরিচালিত ফিশিং হামলার শিকার হয়েছেন। নিক জানান, ১৫ এপ্রিল তাঁর জিমেইল ঠিকানায় একটি ই-মেইল আসে, যা পাঠানো হয় ‘নো-রিপ্লাই@গুগল ডটকম’ ঠিকানা থেকে। ই-মেইলটি ‘ডোমেইনকিজ আইডেন্টিফায়েড মেইল’ বা ডিকেআইএম যাচাইতেও উত্তীর্ণ হয়। সাধারণত ডিকেআইএম যাচাই উত্তীর্ণ ই-মেইলকে বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। ই-মেইলটিতে দাবি করা হয়, তাঁর গুগল অ্যাকাউন্টের কিছু কনটেন্ট জমা দিতে হবে। সঙ্গে থাকা একটি লিংকে ক্লিক করতে বলা হয়। এ লিংকে ক্লিক করার পর একটি তথাকথিত ‘সাপোর্ট পোর্টাল’ চালু হয়। এ লিংকটি ‘সাইটস ডট গুগল ডটকম’ডোমেইনের।

ওয়েবসাইটটি প্রথম দেখায় গুগলের নিজস্ব সাইট বলে মনে হয়। এমনকি লগইন পেজটিও গুগলের আসল লগইনের মতো হুবহু নকশায় তৈরি করা। এভাবে বিভ্রান্ত করে ব্যবহারকারীর ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে হ্যাকাররা। নিক জানান, গুগলের অবকাঠামোয় দুটি বড় ধরনের দুর্বলতা হামলাটি সফল হওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। প্রথমত, যে কেউ ‘সাইটস ডট গুগল ডটকম’-এর মাধ্যমে গুগলের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। দ্বিতীয়ত, গুগলের মূল ঠিকানার মতো দেখতে একটি বৈধ ই–মেইল ঠিকানা ব্যবহার করায় ব্যবহারকারীদের পক্ষে বিভ্রান্ত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

নিক বিষয়টি গুগলকে জানানোর পাশাপাশি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন। গুগল ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা দুর্বলতা নিরসনে কাজ করছে। সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেরা বলছেন, কোনো ই-মেইলের লিংকে ক্লিক করার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত, সেটি আদৌ গুগলের পক্ষ থেকে পাঠানো কি না।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ড ম ইন

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়নগরের সেই ওসি প্রত্যাহার

রাইজিংবিডি ডটকম-এ অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রওশন আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জেলা পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ওসি শহিদুল ইসলাম।

বিজয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) অমিতাভ দাস তালুকদার ওসি রওশন আলীর প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ এপ্রিল রাইজিংবিডি ডটকম-এ “ওসির ‘অনিয়মে’ জনতা অতিষ্ঠ, ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের আশ্বাস” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে ওসি রওশন আলীর বিরুদ্ধে সাধারণ মামলা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে টাকা আদায়, সংঘর্ষে আহতদের মামলা না নেওয়া এবং ফসলি জমি কাটায় জব্দ করা ট্রাক্টর ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়াসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওসির বিরুদ্ধে নানা ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার অনিয়মে তারা ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছিলেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনে সাড়া পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাঙ্গেরিতে তৃতীয় নর্ম তাহসিনের, অপেক্ষা শুধু ২৪০০ রেটিংয়ের
  • বিজয়নগরের সেই ওসি প্রত্যাহার