খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানায় সন্ধান পাওয়া গেছে। এ সময় চাঁদা আদায়ের রসিদ, ল্যাপটপ, মোবাইল, সামরিক ইউনিফর্মসহ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। সন্ধান পাওয়া আস্তানাটি ইউপিডিএফের বলে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সূত্রগুলো দাবি করেছে।

আজ সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণচন্দ্র কারবারি পাড়ায় যৌথবাহিনী অভিযান চলায়। এ সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা একটি তালাবন্ধ ঘর দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে তালা ভেঙে ঘরটিতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ৩ জোড়া পোশাক ও ১৯টি ইউনিফর্ম, পিস্তলের গুলি, ১টি ল্যাপটপ, ওয়াকিটকি সেট, দুটি মুঠোফোন, একটি মাইক্রোফোন, একটি ক্যামেরা, একটি প্রিন্টার, সেলাইমেশিন, তাঁবু, নেট, লোহার শেকল, খাবারের তৈজসপত্র ও খাবারের কাঁচামাল, চাঁদা আদায়ের রসিদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে ওই আস্তানায় অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি।

গোপন আস্তায় সন্ধান পাওয়া যায় ইউনিফর্ম ও সামরিক পোশাক। আজ ভোরে খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণচন্দ্র কারবারি পাড়ায়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মূল ক্যাম্পাসে চারুকলা আনার দাবিতে অনশনে চবির ৯ শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত না করার প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন ইনস্টিটিউটের নয় শিক্ষার্থী।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। সিন্ডিকেট থেকে রায় না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে তারা জানিয়েছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছিল, এ বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে আনা হবে এবং ১ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারবে।

আরো পড়ুন:

চবির সমাবর্তন: ১৮ হাজার সনদে স্বাক্ষর দিচ্ছেন উপাচার্য

চবির অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে সমাবেশ 

অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার হাসান সোহেল, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাসরুল আল ফাহিম, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান ইয়ামিন, একই শিক্ষাবর্ষের মালিহা চৌধুরী, ইসরাত জাহান, নুসরাত জাহান ইপা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নূর ইকবাল সানি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের তরিকুল ইসলাম মাহী এবং একই শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান মিনহাজ।

অনশনরত মাসরুল আল ফাহিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটা ভঙ্গ করেছে। ১ এপ্রিল থেকে আমাদের মূল ক্যাম্পাসে ক্লাস করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বলেছেন, চারুকলার পরিচালক-শিক্ষকরা সহযোগিতা না করায় এ বিষয়ে নাকি তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।”

তিনি বলেন, “চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে আনার আন্দোলন দীর্ঘদিনের। তিলে তিলে আমরা আর মরতে চাই না। হয় সিন্ডিকেট থেকে রায় আসবে, নয় অনশনে আমাদের মৃত্যু হবে।”

ইশরাত জাহান বলেন, “চারুকলা ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। আমরা মূল ক্যাম্পাসে থাকতে চাই। এজন্য আমরণ অনশনে বসেছি।” 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “আমরা তো পহেলা এপ্রিল থেকে চারুকলার ক্লাস মূল ক্যাম্পাসে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু অফিসিয়াল কিছু কাজের জন্য একটু দেরি হচ্ছে। তবে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি পাশ হয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা চারুকলাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে পারব।”

নয় শিক্ষার্থীর অনশনের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছি। পরে এ বিষয়ে জানাব।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ