ছাত্রীদের দাবির মুখে হলের ফি কমালো জবি প্রশাসন
Published: 21st, April 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রীদের ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ এর ফি কমানোসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত উপাচার্য দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। এর আগে, হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর চার দফা দাবি বাস্তবায়নে একটি স্মারকলিপি দেয় তারা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘আমার বোন মিছিল করে, প্রশাসন কি করে’, ‘আমার বোন কষ্ট করে, প্রশাসন কি করে’, ‘হলের মেয়েরা কষ্ট করে, প্রশাসন কি করে’, ‘প্রশাসন প্রশাসন, লজ্জা লজ্জা’, ‘ভিসি স্যার কই গেলো, লজ্জা লজ্জা’, ‘হল ফি কমাতে হবে, কমাতে হবে কমাতে হবে’, ‘আমাদের দাবি, আমাদের দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ তিন বছর হয়েছে হলের ওয়াইফাই সমস্যা, খাবারের সমস্যা, মেডিকেল সেন্টার নেই। অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যেখানে নামমাত্র ফি নেওয়া হয়, সেখানে আমাদের কম সুবিধা দিয়েও বেশি ফি আদায় করা হয়। আমরা এসব কিছুর অবসান চাই।
তারা আরও বলেন, হল প্রধ্যক্ষকে বললে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। সবকিছু আইসিটি সেলের পরিচালক ও প্রশাসন জানে।’ ১৫ দিনে ওয়াইফাই সমস্যা সমাধান করবে বলে আজ দুই-তিন বছর শেষ হয়ে গেছে। এরপরো তাদের কোনো খবর নেই।
চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- হলের ফি ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে অর্ধেক করতে হবে; হলে খাবারের মান বৃদ্ধি ও আলাদা ডাইনিং চালু করতে হবে; মেডিকেল সেন্টার চালু করে ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে; দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, বিএনপির প্রতিবাদ
সোনারগাঁয়ে ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় মাস্ক, কাপড় হেলমেট মাথায় দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারই প্রতিবাদে সোনারগাঁ উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টায় হঠাৎ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার কাঁচপুর নয়াবাড়ি এলাকায় এ মিছিল করা হয়। পরে মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) আসিফ ইমাম মিছিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিকেল ৪টায় সোনারগাঁ পৌরসভার কার্যালয়ের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদ জানিয়ে পৌরসভা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে বলতে শোনা যায়, জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই করো, হই হই রই রই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ গেলি কই।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট পরবর্তীতে সোনারগাঁয়ে এই প্রথম প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে কোন কর্মসূচি করতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওটিতে বলতে শোনা যায় নারায়ণগঞ্জের মাটি শেখ হাসিনার ঘাটি, শেখ হাসিনার ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই।
শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে, জামাত শিবির রাজাকার এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়। এসময় ছাত্রলীগের ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। পরিচয় গোপন করতে প্রত্যেকেরই মুখে কালো মাস্ক, হেলমেট কিংবা কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া ভিডিওটি অস্পষ্ট হওয়ায় বিক্ষোভকারীদের কাউকে চেনা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছেন ছাত্রলীগ এই বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। অপর দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করে।
প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান সোহেল,সোনারগাঁও পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফারুক আহমেদ, সোনারগাঁও পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ফরহাদ শিকদার, শ্রমিকদলের আহবায়ক আবুল হোসেন, সোনারগাঁ পৌরসভা যুবদল নেতা সালে মুসা,আল আমিন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাজী নাদিম,ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তানভীর আহমেদ জনি।