প্রেমিকাকে না পেয়ে যেভাবে পোপ হয়েছিলেন ফ্রান্সিস
Published: 21st, April 2025 GMT
ছেলেবেলায় সমবয়সী এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। প্রেমিকাকে বলেছিলেন, ‘আমাকে যদি বিয়ে না করো, তাহলে এ জীবন ঈশ্বরের সাধনায় উৎসর্গ করে দেব।’
কৈশোরে সেই প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ব্যথা বুকে নিয়েই তিনি এতটা পথ একলা পাড়ি দিয়েছেন। ধর্ম সাধনা করেছেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের পোপ হিসেবে।
পোপ ফ্রান্সিসের আদি নাম হোর্হে মারিও বেরগোগলিও। ফ্রান্সিস নামটি বেছে নেন পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর। আর তাঁর স্বপ্নের সেই প্রেমিকার নাম এমিলিয়া দামন্তে। ২০১৩ সালে দুজনেরই বয়স যখন ৭৬ বছর, তখন সেই এমিলিয়াই প্রকাশ করেন তাঁদের গোপন প্রেমের খবর।
এমিলিয়া বলেন, ‘তখন আমরা ১২ বছরে পা দিয়েছি। থাকতাম আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স এইরেসের ফ্লোরেস উপশহরে। বেরগোগলিও একদিন একটা চিঠি দিল। আমাকে বিয়ে করতে না পারলে, সংসারত্যাগী হবে, ধর্মযাজক হয়ে যাবে বলেও জানিয়ে দিল।’
ফ্রান্সিসের ছোট বোন মারিয়া এলেনা বেরগোগলিও সে সময় দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমার ভাই মৃদুভাষী। পৃথিবীর ১২০ কোটি রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের নেতা হওয়ার কোনো বাসনাই তাঁর ছিল না। কখনো পোপ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন না। আজ তিনি সারা বিশ্বের ক্যাথলিকদের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। এখন তাঁকে সীমাহীন নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে হবে। আমি নিজেও চাইনি, আমার ভাই পোপ হন। কারণ, এতে তাঁর ঘাড়ে অনেক দায়িত্ব বর্তাবে। তিনি আমাদের থেকে আরও দূরে চলে যাবেন।’
তবে পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর ভাইকে নিয়ে গর্বিতই ছিলেন মারিয়া। তিনি বলেন, ‘এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ইউরোপের বাইরে আমার ভাই-ই প্রথম পোপ নির্বাচিত হয়েছেন। লাতিন আমেরিকা ও আমাদের জন্মভূমি আর্জেন্টিনা থেকে তিনিই প্রথম নির্বাচিত পোপ। ঈশ্বরের সদয় কৃপা ছাড়া এমন ভাই পাওয়া যায় না।’
২০১৩ সালে বেরগোগলি পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর এমিলিয়া বলেন, ‘আজ আর আমার লুকানোর কিছু নেই। ওটা ছিল অবুঝ প্রেম। আমাদের সম্পর্ক ছিল পবিত্র। তবে আমার মা–বাবার বাধার কারণে সেই প্রেম বিকশিত হয়নি। চিঠিটিতে একটি ঘরের ছবি এঁকেছিল সে। ছাদ লাল রঙের। ওর স্বপ্ন ছিল, এমন একটি ঘর কিনবে, বিয়ের পর আমাকে নিয়ে সেখানে থাকবে। চিঠি পড়ল বাবার হাতে। তিনি তো রেগে আগুন। আমাকে আচ্ছামতো পেটালেন বাবা। এরপর থেকে ওকে আর কখনো দেখিনি। মা–বাবা আমাকে দূরে দূরে সরিয়ে রাখতেন। ওর সঙ্গে দেখা হোক, তা চাইতেন না। একপর্যায়ে আমিও চাইতাম, ও যেন আমার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যায়। তা–ই হয়েছিল, ধীরে ধীরে দূরে সরে গিয়েছিল সে।’
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ ও দ্য গার্ডিয়ান
আরও পড়ুনপোপ ফ্রান্সিস সম্পর্কে কিছু অজানা চমকপ্রদ তথ্য২০ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত হওয় র য় র পর এম ল য়
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলমের ১১ একর সম্পদ নিলামে বিক্রি করতে বিজ্ঞপ্তি
প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পাওনা আদায়ে বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কারখানা-গুদামসহ প্রায় ১১ একর সম্পত্তি নিলামে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। আজ রোববার চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাংকটির খাতুনগঞ্জ কর্পোরেট শাখা এস আলমের এসব সম্পদ নিলামে কিনতে আগ্রহীদের দরপত্রে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি খাতুনগঞ্জ কর্পোরেট শাখার বিনিয়োগ গ্রাহক এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাছান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের কাছ থেকে ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত লভ্যাংশসহ ব্যাংকের খেলাপি বিনিয়োগ বাবদ ৯ হাজার ৯৪৮ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। আদায়কাল পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য খরচ আদায়ের নিমিত্তে অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ১২(৩) ধারা মোতাবেক বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রির জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধানের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- তিনটি রেজিস্টার্ড মর্টগেজ চুক্তি অনুসারে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর মৌজায় ১০ দশমিক ৯৩ একর জায়গা এবং এসব জায়গায় কারখানা-গুদাম ও ভবনসহ পুরো স্থাপনা নিলামে তোলার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৪ সালের ১৩ ও ১৬ মার্চের ৩৭৪৬ নম্বর, ২০১৩ সালের ২৮ ও ২৯ মের ৮০৫৭ নম্বর এবং ২০১৩ সালের ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের ৩৩২৭ নম্বর রেজিস্টার্ড মর্টগেজ চুক্তিবদ্ধ সম্পদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইসলামী ব্যাংক ‘দখলে’ নিয়েছিল এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির সিংহভাগ মালিকানায় তাদের নিয়ন্ত্রিত ছিল। এস আলমের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগও আছে।