মায়াভোকে সঙ্গে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে লিড এনে দেন উইলিয়ামস। ৫৫তম ওভারে মিরাজের বলে অহেতুক এক শটে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। টাইমিংয়ের গড়বড়ে বাউন্ডারির কাছাকাছি জয়ের তালুবন্দি হন। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে ৫৯ রান করেন তিনি, ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায়। ৫৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৬ উইকেটে ১৯৫। ক্রিজে নিয়াশা মায়াভোর সঙ্গী ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
জিম্বাবুয়ের লিড
প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দিয়ে লিড নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের ৫৩তম ওভারে মিরাজের বলে মায়াভোর চারে জিম্বাবুয়ের রান হয়েছে ৫ উইকেটে ১৯২। মায়াভো ১৩ এবং উইলিয়ামস ৫৮ রানে অপরাজিত। ক্রিজে শন উইলিয়ামস ও হাতে ৫ উইকেট থাকায় বড় লিড নেওয়ার সুযোগ আছে সফরকারীদের।
মাধেভেরেকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন খালেদ
প্রথম সেশনে ৪টা উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে উইলিয়ামস-মাধেভেরে জুটিতে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তারা। তবে ৫০তম ওভারে মাধেভেরেকে ফিরিয়ে ৪৮ রানের জুটি ভাঙলেন খালেদ। ৩৩ বলে চারটি জারে ২৪ রান করেন মাধেভেরে।
৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। লিড নেওয়ার পথেই এগোচ্ছে অতিথিরা। উইলিয়ামস ব্যাট করছেন ৫৬ রানে, মায়ভো আছেন ০ রানে। ১৪ রানে পিছিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে।
এর আগে বিনা উইকেটে ৬৭ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম সেশন শেষ হতে হতে তাদের উইকেট পড়ে যায় চারটি। নাহিদা রানা শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক বোলিং করেছেন। লাঞ্চ বিরতির আগে একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট নেন হাসান।
আজ প্রথম সেশনে ক্যাচের রেকর্ডে মেহেদী হাসান মিরাজকে ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল হক। নাহিদ রানার লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে শর্ট লেগে বেন কারানের ক্যাচ নিলেন মুমিনুল হক। জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পাশাপাশি রেকর্ডও গড়লেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। টেস্ট ক্রিকেটে মুমিনুলের এটি ৪১তম ক্যাচ। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এত দিন ৪০ ক্যাচ নিয়ে শীর্ষে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনই এখনও খেলছেন। তাই সামনের দিনগুলোতে হয়তো বারবার হাতবদল ঘটবে এই রেকর্ডের।
নাহিদময় বাংলাদেশের প্রথম সেশন
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
৩৫০-৪০০ করে জিম্বাবুয়েকে ৩০০ রানের টার্গেট দিতে চায় বাংলাদেশ
ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দিন ডুবেছিল বাংলাদেশ। বোলিংটাও হয়নি মনোঃপুত। তবে দ্বিতীয় দিন বোলারাই উদ্ধার করেছে বাংলাদেশকে।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের লড়াই শেষে দুই দলের কাউকেই এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের করা ১৯১ রানের জবাবে ২৭৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। ৮২ রানের লিড পায় তারা। জবাব দিতে নেমে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। হাতে ৯ উইকেট রেখে বাংলাদেশ কতদূর যাবে সেটাই দেখার। তবে ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিজেদের পক্ষে আনতে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই।
কত রান হলে জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া যাবে? প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৫ উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ জানালেন, অন্তত ৩০০ রানের টার্গেট জিম্বাবুয়েকে দিতে চান তারা। এজন্য স্কোরবোর্ডে ৩৫০-৪০০ রান লাগবেই। সেই লক্ষ্যেই ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করবেন বলে জানালেন।
তার ভাষ্য, ‘‘এখন যে উইকেট আছে, আমার কাছে মনে হয় যদি ভালো ব্যাটিং করতে পারি, যদি ৩৫০–৪০০ রান করতে পারি, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হবে। টেস্ট ক্রিকেটে যদি ৩০০ রান লক্ষ্য দেওয়া হয়, প্রতিপক্ষের জন্য অনেক কঠিন। কারণ উইকেটে অনেক পরিবর্তন আসবে। আমাদের ওই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’’
সিলেটের উইকেটে এখন পর্যন্ত পেসাররা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। স্পিনারদের সাফল্যের পাল্লা ভারী হলেও যতটুকু সুবিধা পেসাররাই পাচ্ছেন। নতুন বলে বল বেশ ভালো মুভমেন্ট পাচ্ছে। স্পিনাররা তেমন টার্ন পাচ্ছেন না। মিরাজও জানালেন, স্পিনাররা ছিলেন সাপোর্টিং রোলে। পেসাররাই তৈরি করেছেন আসল চাপ।
আজ দিনের শুরুতে নাহিদ রানা গতির ঝড় তুলে ৩ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ পান ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে খালেদের পকেটে যায় ১ উইকেট। বাকি ৫ উইকেট পান মিরাজ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জিম্বাবুয়েকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ।
বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি মিরাজ, ‘‘আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছি। গতকাল আমরা বোলাররা খুব ভালো করতে পারিনি। হয়তো আমাদের আরো ভালো করা উচিৎ ছিল। পেস বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। হাসান, নাহিদ রানা এবং… খালেদ, তিনজন… খুবই ভালো বল করেছে। আমাদের স্পিনারদের ভূমিকা ছিল আমরা যেন সাপোর্ট করতে পারি। টেস্ট ম্যাচে প্রথম ইনিংসে নতুন বলে পেসারদের ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা সেই জিনিসটা মেইনটেইন করতে পেরেছে। এবং… আমার কাছে মনে হয়, তারা যেভাবে বল করেছে এটা আমাদের দলের জন্য অনেক সাহায্য করেছে ওদেরকে অলআউট করতে।’’
ম্যাচ এখন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করছেন মিরাজ, ‘‘এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে আমি মনে করি। আমাদের ১ উইকেট গিয়েছে। ব্যাটসম্যান আছে। আমরা যদি ভালো একটা স্কোর দিতে পারি তাদেরকে। চার নম্বর দিন ওদের জন্য অনেক কঠিন হবে এই উইকেটে।’’
তৃতীয় দিনের সকালের সেশনটাকেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরছেন মিরাজ, ‘‘প্রথমে আমাদের লিড পার করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে লিডটা যেন ক্রস করতে পারি। তারপর আমাদের ব্যাটসম্যানরা যেন দায়িত্ব নিয়ে বড় একটা স্কোর করতে পারি।’’
সিলেট/ইয়াসিন