বাজারে এল সুগার ফ্রি নতুন পানীয় ‘ক্লেমন জিরো’
Published: 21st, April 2025 GMT
বর্তমানে সব বয়সী মানুষের মধ্যেই স্বাস্থ্যসচেতনতার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে খাবার ও কোমল পানীয়র (সফট ড্রিংকস) বিষয়ে অনেকেই এখন আরও বেশি সচেতন। অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলার কারণে অনেকেই সফট ড্রিংকস থেকে দূরে থাকেন। এই পরিবর্তিত অভ্যাস ও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লিয়ার ড্রিংকস ব্র্যান্ড ক্লেমন বাজারে এনেছে নতুন ভেরিয়েন্ট ‘ক্লেমন জিরো’।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ক্লেমন জিরো একটি সুগার ফ্রি, জিরো ক্যালরির ক্লিয়ার ড্রিংক, যা বিশেষভাবে স্বাস্থ্যসচেতন, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিদের পাশাপাশি ডায়াবেটিক রোগীদের সফট ড্রিংকসের চাহিদার উপযোগী সমাধান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, যারা নিয়মিত জিম, ইয়োগা বা অন্যান্য ফিটনেস রুটিন অনুসরণ করেন, তাদের জন্যও ক্লেমন জিরো হতে পারে মানানসই ড্রিংকস।
নতুন এই ভেরিয়েন্ট বাজারজাতকরণের অংশ হিসেবে ক্লেমন জিরো যাত্রা শুরু করেছে একটি পূর্ণাঙ্গ ৩৬০ ডিগ্রি মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল মন জ র
এছাড়াও পড়ুন:
টিকটকে পরিচয় থেকে পরিণয়, হঠাৎ নিখোঁজ স্বামীর খোঁজে মৌলভীবাজারে তরুণী
টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে মৌলভীবাজারের এক তরুণের সঙ্গে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। একপর্যায়ে নববধূর কাছ থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণ। স্বামীর খোঁজে তার গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন ভুক্তভোগী। সেখানেও স্বামীকে না পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হেফাজতে রয়েছেন ওই তরুণী। গতকাল সোমবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কাটারাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী তরুণীর (১৯) বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়। তার পরিবার বর্তমানে চট্টগ্রামে বসবাস করে।
ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্য, তিনি পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। টিকটক করার সুবাদে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আপ্তাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর (২১) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ এপ্রিল প্রেমের টানে ওয়াকিব চট্টগ্রামে চলে যান। ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম সদরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন ওয়াকিব। গত ১৫ এপ্রিল ওয়াকিব নামাজে যাচ্ছেন বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে যাননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ওয়াকিব তার সঙ্গে আর যোগাযোগ না করায় সোমবার স্বামীর সন্ধানে কাটারাই গ্রামে চলে আসেন। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ওয়াকিবের বাড়ির সন্ধান পেলেও স্বামীকে পাননি। পরবর্তীতে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি স্থানীয় খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন। তিনি দাবি করেন, তার স্বামীকে তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখে রেখেছেন এবং তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। স্বামীর সন্ধান পেতে বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ওয়াকিবের পিতা আপ্তাব আলী জানান, ব্যবসার টাকা ছয়-নয় করে তার ছেলে গত রোজার ঈদের আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। বর্তমানে ছেলের অবস্থান সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। সোমবার সকালে ওয়াকিবের স্ত্রী পরিচয়ে এক তরুণী তাদের বাসায় এসেছিল। তার ছেলেকে না পেয়ে সে চলে গেছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাটারাই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত রোববার বিকেলেও ওয়াকিবকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় খলিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী জানান, স্বামীকে খুঁজতে আসা এক তরুণী তার বাড়িতে রয়েছেন। পরিষদের কাজে এলাকার বাইরে রয়েছেন তিনি। বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করবেন।