জুলাই অভ্যুত্থানে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ আটজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা।

সোমবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছে পুলিশের এই ৮ সদস্য।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গত বছর ৭ অক্টোবর এই মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০ এপ্রিল শেষ হয়েছে। ৯০ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনে বিভিন্ন দালিলিক তথ্য তথ্য প্রমাণ এবং ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

তাজুল ইসলাম আরো বলেন, গত বছরের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের পর এই প্রথম কোনও মামলার চার্জশিট দাখিল করা হলো। এখন ফরমাল চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তারপর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তা দাখিল করা হবে। ট্রাইবুনাল ১৫ দিনের মধ্যে পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পলাতক আসামিরা হাজির না হলে তাদের পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত করা হবে। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত জ ল ইসল ম তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নকশা লঙ্ঘন: ঢাকায় ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙার উদ্যোগে রাজউক

নকশা লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজধানী ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করে ভাঙার কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সমস্যার নগরী ঢাকা: সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক এক সংলাপে এ তথ্য জানান রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “চিহ্নিত ভবনগুলোর অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হবে। প্রথম ধাপে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, ফৌজদারি মামলা দায়ের, নকশা বাতিল এবং প্রয়োজনে ভবন সিলগালা করার কার্যক্রম শুরু করেছি।”

রাজউক চেয়ারম্যান আরো বলেন, “আমার দায়িত্বকালে এই কাজ চালিয়ে যাব। নিয়মের ব্যত্যয় যেখানেই হবে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, ঢাকাকে একটি ছাতার নিচে না আনলে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। নগরের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সেবাসহ সবকিছুর সিদ্ধান্ত যেন একটি জায়গা থেকে আসে, সেই ব্যবস্থাই এখন জরুরি।

বর্তমানে যারা নিয়ম ভেঙে বাড়ি নির্মাণ করেছেন, তাদের বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সব কাজ একসাথে সম্ভব নয়, তবে নির্মাণাধীন ভবনে কোনো ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না।”

নতুন প্লট বরাদ্দের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি। বরং বেদখল প্লট উদ্ধার করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান রাজউক চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন, ক্যাপস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান, পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান, স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রকাশনা ‘ঢাকাই’ ম্যাগাজিন ও হেলিমুল আলম বিপ্লবের লেখা Dhaka’s Canals on Their Dying Breath বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ, সঞ্চালনায় ছিলেন খালেদ সাইফুল্লাহ।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ