প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখায়, গানে বৃষ্টি এসেছে নানা সময়ে। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’। সিনেমার হাবিব-কনার গাওয়া ‘চলো বৃষ্টিতে ভিজি’ গান জনপ্রিয়তা পায়। শুধু তখন নয়, ১৭ বছরেও গানটির আবেদন ফুরায়নি। এখনো বৃষ্টির দিনে ফেসবুক রিলস থেকে টিকটকে গানটি দিয়ে ভিডিও বানাতে দেখা যায় অনেককে। আজ সোমবারও এমন দেখা গেছে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা জনপ্রিয় এ বৃষ্টির গানের পেছনের গল্প প্রথম আলোকে জানিয়েছেন গানটির গায়ক, সুরকার ও সংগীতায়োজক হাবিব ওয়াহিদ।

হাবিবকে সিনেমার গল্প আগেই শুনিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। গানটি নিয়ে আলোচনা করতে এ গায়ককে নিজের বাসভবন ধানমন্ডির দখিন হাওয়ায় ডাকেন তিনি। অনেকটা ভয়ে ভয়েই সেখানে যান হাবিব। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আলোচনা, শুনেই গলা শুকিয়ে যায় যায়। দুজনের আলোচনা শেষে হাবিব চলে আসেন। কিছুদিন পর গান তৈরি করে হুমায়ূন আহমেদকে শোনাতে যান তিনি। গানটি হুমায়ূন আহমেদের খুব পছন্দ হয়। কিন্তু এরপরও যেন ঠিক খুশি হচ্ছিলেন না তিনি। কোথায় যেন একটা গন্ডগোল।
হাবিবও সংশয়ের মধ্যে পড়ে যান, সমস্যাটা কোথায়! হাবিবের কথায়, ‘হুমায়ূন আহমেদ আমাকে বলেন, “হাবিব গানটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। কিন্তু বলো তো আমাদের গ্যাপ কোথায়? আমি কি তোমাকে বোঝাতে পারিনি? আমি তো আনন্দের গান চাইনি, স্যাড গান চেয়েছিলাম।” তখন বুঝতে পারি, আমাদের কমিউনিকেশনে একটা গ্যাপ ছিল, এরপর আবার এই স্যাড ভার্সনটা করি। উনি অনেক পছন্দ করেছিলেন। সাবিনা ইয়াসমীনকে দিয়ে গানটির আরেকটি ভার্সন তৈরিও করিয়েছিলেন আমাকে দিয়ে।’
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আরও কাজের কথা থাকলেও শুধু এ একটা কাজই হয়েছে হাবিবের। হাবিব মনে করেন, গানটি হুমায়ূন আহমেদের লেখা বলেই এখনো আবেদন ফুরায়নি। হাবিব বলেন, ‘এই যে এখনো মানুষ গানটাকে আগের মতোই ভালোবাসে, এর মূল কারণ হুমায়ূন আহমেদ। ওনার লেখাগুলো এমনই, টাইমলেস। উনি বেঁচে থাকলে হয়তো আরও কাজ হতো একসঙ্গে, আর আড্ডাও হতো।’

আরও পড়ুনঅর্ণবের উৎসাহেই ‘দিন গেল’ গানটি অ্যালবামে রেখেছিলেন হাবিব২২ মার্চ ২০২৫

হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ সিনেমা মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। সিনেমাটির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় বিদ্যা সিনহা মিমের। এ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ, জাহিদ হাসান, মেহের আফরোজ শাওন, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ম য় ন আহম দ র ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘চলো বৃষ্টিতে ভিজি’ গানটি তৈরির গল্প বললেন হাবিব

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখায়, গানে বৃষ্টি এসেছে নানা সময়ে। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’। সিনেমার হাবিব-কনার গাওয়া ‘চলো বৃষ্টিতে ভিজি’ গান জনপ্রিয়তা পায়। শুধু তখন নয়, ১৭ বছরেও গানটির আবেদন ফুরায়নি। এখনো বৃষ্টির দিনে ফেসবুক রিলস থেকে টিকটকে গানটি দিয়ে ভিডিও বানাতে দেখা যায় অনেককে। আজ সোমবারও এমন দেখা গেছে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা জনপ্রিয় এ বৃষ্টির গানের পেছনের গল্প প্রথম আলোকে জানিয়েছেন গানটির গায়ক, সুরকার ও সংগীতায়োজক হাবিব ওয়াহিদ।

হাবিবকে সিনেমার গল্প আগেই শুনিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। গানটি নিয়ে আলোচনা করতে এ গায়ককে নিজের বাসভবন ধানমন্ডির দখিন হাওয়ায় ডাকেন তিনি। অনেকটা ভয়ে ভয়েই সেখানে যান হাবিব। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আলোচনা, শুনেই গলা শুকিয়ে যায় যায়। দুজনের আলোচনা শেষে হাবিব চলে আসেন। কিছুদিন পর গান তৈরি করে হুমায়ূন আহমেদকে শোনাতে যান তিনি। গানটি হুমায়ূন আহমেদের খুব পছন্দ হয়। কিন্তু এরপরও যেন ঠিক খুশি হচ্ছিলেন না তিনি। কোথায় যেন একটা গন্ডগোল।
হাবিবও সংশয়ের মধ্যে পড়ে যান, সমস্যাটা কোথায়! হাবিবের কথায়, ‘হুমায়ূন আহমেদ আমাকে বলেন, “হাবিব গানটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। কিন্তু বলো তো আমাদের গ্যাপ কোথায়? আমি কি তোমাকে বোঝাতে পারিনি? আমি তো আনন্দের গান চাইনি, স্যাড গান চেয়েছিলাম।” তখন বুঝতে পারি, আমাদের কমিউনিকেশনে একটা গ্যাপ ছিল, এরপর আবার এই স্যাড ভার্সনটা করি। উনি অনেক পছন্দ করেছিলেন। সাবিনা ইয়াসমীনকে দিয়ে গানটির আরেকটি ভার্সন তৈরিও করিয়েছিলেন আমাকে দিয়ে।’
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আরও কাজের কথা থাকলেও শুধু এ একটা কাজই হয়েছে হাবিবের। হাবিব মনে করেন, গানটি হুমায়ূন আহমেদের লেখা বলেই এখনো আবেদন ফুরায়নি। হাবিব বলেন, ‘এই যে এখনো মানুষ গানটাকে আগের মতোই ভালোবাসে, এর মূল কারণ হুমায়ূন আহমেদ। ওনার লেখাগুলো এমনই, টাইমলেস। উনি বেঁচে থাকলে হয়তো আরও কাজ হতো একসঙ্গে, আর আড্ডাও হতো।’

আরও পড়ুনঅর্ণবের উৎসাহেই ‘দিন গেল’ গানটি অ্যালবামে রেখেছিলেন হাবিব২২ মার্চ ২০২৫

হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ সিনেমা মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। সিনেমাটির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় বিদ্যা সিনহা মিমের। এ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ, জাহিদ হাসান, মেহের আফরোজ শাওন, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ