জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার
Published: 21st, April 2025 GMT
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি জন মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২১ এপ্রিল) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানির জন্য আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, আইনজীবী শিশির মনির। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো.
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল। আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি।
ঢাকা/মামুন/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপ ল ব ভ গ আপ ল শ ন ন ব চ রপত র আপ ল আজহ র
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ রোববার রিটটি দায়ের করা হয়।
৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্তে দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রিটটি দায়ের করেন।
পরে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর আগামীকাল (সোমবার) শুনানি হতে পারে।’
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ৯ এপ্রিলের ওই সিদ্ধান্ত (অফিস আদেশ) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় ওই অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবিপ্রধান, সিআইডিপ্রধান, এসবিপ্রধানসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে কমিশনারের পক্ষে ৯ এপ্রিল ‘অফিস আদেশ’ জারি করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন।
অফিস আদেশের ভাষ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্তে দায়ের করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।