চবির ৫ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে খাগড়াছড়িতে অভিযান চলছে
Published: 21st, April 2025 GMT
খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহৃত হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী ও একজন টমটম চালককে ৬ দিনেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে অপহৃতদের উদ্ধারে খাগড়াছড়ি সদরের সুরেন্দ্র মাস্টার পাড়া, পূর্ণ চন্দ্র কারবারী পাড়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। এসময় সন্দেহভাজন ৭ জন আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তfদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এছাড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউপিডিএফ’র ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা আজ (সোমবার) সকালে যৌথবাহিনীর অভিযানের খবর নিশ্চিত করেছেন। অপহৃতরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী ও একজন টমটম চালক অপহৃত হন।
ঢাকা/রূপায়ন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরের শিশুর লাশ উদ্ধারের মামলায় পাঁচ কিশোর আটক
নাটোরের বড়াইগ্রামের নিখোঁজ হওয়া শিশু হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সবাই বয়সে কিশোর। তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। পুলিশের কাছে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে নাটোরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ।
আরও পড়ুননিখোঁজের পরদিন শিশুর মুখ ঝলসানো লাশ উদ্ধার১৫ এপ্রিল ২০২৫আটক শিশুদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয় এবং ব্যাটারিতে ব্যবহৃত অ্যাসিড দিয়ে শিশুটির মুখ ঝলসে দেওয়া হয়। জড়িতরা সবাই এলাকার বখাটে বা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল নিখোঁজ হওয়া শিশুটির মরদেহ পরের দিন বাড়ির পাশ লাগোয়া পাবনার চাটমোহর উপজেলায় একটি ভুট্টাখেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনার পর থেকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শনাক্তে মাঠে নামে। এরই অংশ হিসেবে তারা বড়াইগ্রামের চান্দাই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ কিশোরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। মামলাটি চাটমোহর থানায় হওয়ায় তাদের সেখানে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন জানান, আটক পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে তারা শিশুটিকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাদের মধ্যে একজন মাদ্রাসাছাত্র ও একজন কলের লাঙলের চালক। আগে থেকেই তারা শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত। ঘটনার সময় শিশুটির সঙ্গে থাকা অন্য এক শিশুও ঘটনাটি দেখেছে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আইন অনুসারে আটক শিশুদের চাটমোহর থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেখানকার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিধি অনুসারে তাদের আদালতে সোপর্দ করবেন।