দোহারের পর একই কায়দায় নবাবগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি
Published: 21st, April 2025 GMT
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় এবার এক চিকিৎসকের বাড়িতে ভবনের গ্রিল কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোরে বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের দাবি, ডাকাত দল বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।
আরও পড়ুনদোহারে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা লুট১৫ এপ্রিল ২০২৫পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, আজ দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত দল ওই বাড়িতে হানা দেয়। তারা পাকা ভবনটির গ্রিল কেটে একটি কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে বাড়ির মালিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও শাশুড়িকে জিম্মি করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এ সময় আলমারি ভেঙে ৫০ হাজার টাকা, ৬৫০ পাউন্ড ও ১১ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়। তবে মুখোশ পরার কারণে ডাকাতদের কাউকে চেনা যায়নি। খবর পেয়ে আজ ভোরে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুনদোহারে আবারও ডাকাতি, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও সাড়ে ৫ লাখ টাকা লুট১৬ এপ্রিল ২০২৫এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়েই পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের আটক করতে পুলিশ তৎপর আছে।
এর আগে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল দোহারের দুটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই দুই বাড়ি থেকে প্রায় ৪৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ৬ লাখ টাকা লুট হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিটি পরিচয়েই ভালো কাজকে প্রাধান্য দিতে চাই: ফাহমিদা নবী
ফাহমিদা নবী। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার। সম্প্রতি আজব রেকর্ড থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর একক গান ‘না হয় শুধু এতটুকুই হোক’। নতুন এ আয়োজন, বর্তমান ব্যস্ততা এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
অনেকে বলছেন, ‘না হয় শুধু এতটুকুই হোক’ গানটি মেলেডি সুরের হলেও আপনার আগের সব আয়োজন থেকে কিছুটা আলাদা। তাদের এই কথার সঙ্গে কী আপনি একমত?
দ্বিমত পোষণ করার কোনো কারণ নেই। কারণ সুরকার জয় শাহরিয়ার এ গান যখন শোনায়, তখনই মনে হয়েছে এর সুর একটু আলাদা ধরনের। মেলোডি গান যারা পছন্দ করেন, তাদের হৃদয় স্পর্শ করার মতো ম্যাজিক্যাল কিছু এতে আছে। তানবীর সাজিবের লেখা এর গীতিকথাও একটু আলাদা ধরনের, যা গানের শিরোনাম থেকেই অনুমান করা যায়। তাই আনন্দ নিয়েই গানটি গেয়েছি।
বাংলাঢোল স্টুডিওর অ্যাকুস্টিক টেলস অনুষ্ঠানে গাওয়া ‘দিনলিপি’ গানটিও প্রকাশিত হলো। এই আয়োজনে শ্রোতার প্রতিক্রিয়া কী?
সবার কথা জানি না, তবে যারা অনাপ্লাগড ভার্সনের গান পছন্দ করেন, তাদের অনেকের কাছে অ্যাকুস্টিক টেলসের ‘দিনলিপি’ গানটি ভালো লেগেছে। অ্যাকুস্টিক বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে গাওয়া যে কোনো গানই একটু অন্যরকম শোনায়, যার আলাদা শ্রোতা আছে।
গত কয়েক বছরে বেশ কিছু গানের সুর করে শ্রোতার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এ বছর আপনার সুরের কোনো গান কি প্রকাশ পাবে?
নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলা কঠিন। তার পরও সম্ভাবনা যে একেবারে নেই, তা নয়। সুর করা এখন অনেকটা নেশায় পরিণত হয়েছে। কয়েক বছর আগেও ভাবিনি, এই কাজটি নিয়মিত করব। যখনই কারও লেখা গানের কথা ভালো লেগে যাচ্ছে, তখনই তাতে সুর বসানোর চেষ্টা করছি। এখন মনে হয়, সুরকার হিসেবে থেমে থাকার আর সুযোগ নেই। গান যেমন গাইতে হবে, তেমনি সৃষ্টি করতে হবে নতুন সুর। কিছু গানের সুর করে রেখেছি, দেখা যাক এ বছর সেগুলো প্রকাশ করা যায় কিনা।
কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যেমন মেলোডি গান প্রাধান্য দিয়ে আসছেন, সুরকার হিসেবেও কী একই চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করেন?
মেলোডি সুরের আবেদন চিরকালই ছিল। হয়তো সে কারণেই আমার কণ্ঠে শ্রোতারা সবসময় এ ধরনের গানই শুনতে চান। তাই যখন কোনো গানের সুর করি, তখন মেলোডিকেই প্রাধান্য দেই। অন্য শিল্পী গাইলেও সেখানে যেন আমার কাজের ছাপ থাকে, সে দিকে লক্ষ রাখি।
সংগীত প্রযোজক হিসেবে আপনার ভাবনা জানতে চাই, আপনার চ্যানেলে কোন ধরনের গান তুলে ধরতে চান?
গান যদি শ্রুতিমধুর হয়, তাহলে সেটি কোন ঘরনার তা নিয়ে ভাবতে চাই না। সংগীত প্রযোজক হিসেবে এ বিষয়টা প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ সুরের বাইরে গিয়ে কাজ করা কখনই সমর্থন করি না। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থাকা মানে কাজের অবাধ স্বাধীনতা। কিন্তু অবাধ স্বাধীনতা পেলেও কখনও স্রোতে গা ভাসাব না। শিল্পী, সুরকার, প্রযোজক– প্রতিটি পরিচয়েই ভালো কাজকে প্রাধান্য দিতে চাই। এর চেয়ে বড় কথা হলো আমি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের চ্যানেল চালু করা কিংবা গানের প্রযোজনা শুরু করিনি। ভিউর দৌড়ে অংশ না নিয়ে ভালো কাজই শ্রোতার কাছে তুলে ধরতে চাই। শিল্পী, সংগীতায়োজকরা তারকাদের কাজই বেছে নেবে, বিষয়টা এমনও নয়। শিল্পী হিসেবে যেমন, তেমনই প্রযোজক হিসেবে তরুণ শিল্পীদের পাশে আছি সবসময়।
গানের প্রকাশনা ধরে রাখলেও স্টেজ শোতে অনুপস্থিতি চোখে পড়ে। এ নিয়ে কখনও ভাবেন?
এটি সত্যি যে অন্য শিল্পীদের চেয়ে আমাকে স্টেজে কম দেখা যায়। অনুষ্ঠান আয়োজকদের কারণেই এটা হয়েছে। বেশির ভাগ আয়োজকই চান, এমনভাবে অনুষ্ঠান সাজাতে যেখানে দর্শকরা হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠতে পারেন। সেসব অনুষ্ঠানে শিল্পীদের যে ধরনের গান গাইতে হয়, সে ধরনের গান আমার গাওয়া হয়ে ওঠে না।