দুই বছর পর টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন দারুণভাবে রাঙিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪ মেডেনে ২১ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন। মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হকের উইকেটের পর তার পকেটে ঢুকেছে তাইজুলের উইকেট। জানিয়ে রাখা ভালো, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সিঙ্গি মাসাকাদজার ছোট ভাই ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

২০১৮ সালে সিলেটে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে পা রেখেছিলেন মাসাকাদজা। যদিও এরপর খুব বেশি টেস্ট খেলা হয়নি তার। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট। দুই বছর বাইরে থাকার পর আবার সিলেটেই তার ফিরে আসা। ৩১ বছর বয়সী এই স্পিনার অনুভব করেন, বাংলাদেশ তার সেকেন্ড হোম। ফিরে এসে আনন্দ পান। পছন্দ করেন বাংলাদেশের খাবারও।

সোমবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালে ব্রডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাসাকাদজা বলেছেন, ‘‘নিশ্চিতভাবেই (বাংলাদেশে ফিরে ভালো লাগে) । আমি অনুভব করি এটা আমার সেকেন্ড হোম। বিশেষ করে স্পিনার হিসেবে এখানকার কন্ডিশন বেশ মানানসই। তারা সুবিধা পেয়ে থাকে। এখানের বাটার চিকেনও সুস্বাদু।’’

‘‘হ্যাঁ, নিশ্চিতভাবেই এটা দারুণ কিছু (বাংলাদেশে ফেরা) । আমার টেস্ট অভিষেক এখানে হয়েছিল। যেই প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করেছিলাম সেখান থেকেই গতকাল করেছিলাম। কয়েক বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এখন ফিরে এসে ভালো কিছু করেছি যা ভালো লাগছে।’’ – যোগ করেন মাসাকাদজা।

মুশফিকুর ও মুমিনুলকে ফেরাতে দুর্দান্ত কোনো ডেলিভারী করতে হয়নি মাসাকাদজাকে। মুশফিক লেন্থ বল উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। মুমিনুল ফিফটি ছোঁয়ার পর হাওয়ায় ভাসানো বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটেই ক্যাচ দেন। এছাড়া তাইজুল বল পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।

উইকেটের সহায়তা পেয়ে ভালো করায় উচ্ছ্বসিত মাসাকাদজা, ‘‘আমরা এই উইকেটে সঠিক লাইনে বলটা করতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম এখানে সিমারদের জন্য কিছু সাহায্য থাকবে। সেরকমই হয়েছে। সেই সাথে আমরা স্পিনাররা কিছু উইকেট পেয়েছি যা নিশ্চিতভাবেই দারুণ সংকেত।’’

সিলেট/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিটি পরিচয়েই ভালো কাজকে প্রাধান্য দিতে চাই: ফাহমিদা নবী

ফাহমিদা নবী। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার। সম্প্রতি আজব রেকর্ড থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর একক গান ‘না হয় শুধু এতটুকুই হোক’। নতুন এ আয়োজন, বর্তমান ব্যস্ততা এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
 
অনেকে বলছেন, ‘না হয় শুধু এতটুকুই হোক’ গানটি মেলেডি সুরের হলেও আপনার আগের সব আয়োজন থেকে কিছুটা আলাদা। তাদের এই কথার সঙ্গে কী আপনি একমত?
দ্বিমত পোষণ করার কোনো কারণ নেই। কারণ সুরকার জয় শাহরিয়ার এ গান যখন শোনায়, তখনই মনে হয়েছে এর সুর একটু আলাদা ধরনের। মেলোডি গান যারা পছন্দ করেন, তাদের হৃদয় স্পর্শ করার মতো ম্যাজিক্যাল কিছু এতে আছে। তানবীর সাজিবের লেখা এর গীতিকথাও একটু আলাদা ধরনের, যা গানের শিরোনাম থেকেই অনুমান করা যায়। তাই আনন্দ নিয়েই গানটি গেয়েছি।

বাংলাঢোল স্টুডিওর অ্যাকুস্টিক টেলস অনুষ্ঠানে গাওয়া ‘দিনলিপি’ গানটিও প্রকাশিত হলো। এই আয়োজনে শ্রোতার প্রতিক্রিয়া কী?
সবার কথা জানি না, তবে যারা অনাপ্লাগড ভার্সনের গান পছন্দ করেন, তাদের অনেকের কাছে অ্যাকুস্টিক টেলসের ‘দিনলিপি’ গানটি ভালো লেগেছে। অ্যাকুস্টিক বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে গাওয়া যে কোনো গানই একটু অন্যরকম শোনায়, যার আলাদা শ্রোতা আছে।

গত কয়েক বছরে বেশ কিছু গানের সুর করে শ্রোতার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এ বছর আপনার সুরের কোনো গান কি প্রকাশ পাবে?
নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলা কঠিন। তার পরও সম্ভাবনা যে একেবারে নেই, তা নয়। সুর করা এখন অনেকটা নেশায় পরিণত হয়েছে। কয়েক বছর আগেও ভাবিনি, এই কাজটি নিয়মিত করব। যখনই কারও লেখা গানের কথা ভালো লেগে যাচ্ছে, তখনই তাতে সুর বসানোর চেষ্টা করছি। এখন মনে হয়, সুরকার হিসেবে থেমে থাকার আর সুযোগ নেই। গান যেমন গাইতে হবে, তেমনি সৃষ্টি করতে হবে নতুন সুর। কিছু গানের সুর করে রেখেছি, দেখা যাক এ বছর সেগুলো প্রকাশ করা যায় কিনা।

কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যেমন মেলোডি গান প্রাধান্য দিয়ে আসছেন, সুরকার হিসেবেও কী একই চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করেন?
মেলোডি সুরের আবেদন চিরকালই ছিল। হয়তো সে কারণেই আমার কণ্ঠে শ্রোতারা সবসময় এ ধরনের গানই শুনতে চান। তাই যখন কোনো গানের সুর করি, তখন মেলোডিকেই প্রাধান্য দেই। অন্য শিল্পী গাইলেও সেখানে যেন আমার কাজের ছাপ থাকে, সে দিকে লক্ষ রাখি।

সংগীত প্রযোজক হিসেবে আপনার ভাবনা জানতে চাই, আপনার চ্যানেলে কোন ধরনের গান তুলে ধরতে চান?
গান যদি শ্রুতিমধুর হয়, তাহলে সেটি কোন ঘরনার তা নিয়ে ভাবতে চাই না। সংগীত প্রযোজক হিসেবে এ বিষয়টা প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ সুরের বাইরে গিয়ে কাজ করা কখনই সমর্থন করি না। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থাকা মানে কাজের অবাধ স্বাধীনতা। কিন্তু অবাধ স্বাধীনতা পেলেও কখনও স্রোতে গা ভাসাব না। শিল্পী, সুরকার, প্রযোজক– প্রতিটি পরিচয়েই ভালো কাজকে প্রাধান্য দিতে চাই। এর চেয়ে বড় কথা হলো আমি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের চ্যানেল চালু করা কিংবা গানের প্রযোজনা শুরু করিনি। ভিউর দৌড়ে অংশ না নিয়ে ভালো কাজই শ্রোতার কাছে তুলে ধরতে চাই। শিল্পী, সংগীতায়োজকরা তারকাদের কাজই বেছে নেবে, বিষয়টা এমনও নয়। শিল্পী হিসেবে যেমন, তেমনই প্রযোজক হিসেবে তরুণ শিল্পীদের পাশে আছি সবসময়। 

গানের প্রকাশনা ধরে রাখলেও স্টেজ শোতে অনুপস্থিতি চোখে পড়ে। এ নিয়ে কখনও ভাবেন?
এটি সত্যি যে অন্য শিল্পীদের চেয়ে আমাকে স্টেজে কম দেখা যায়। অনুষ্ঠান আয়োজকদের কারণেই এটা হয়েছে। বেশির ভাগ আয়োজকই চান, এমনভাবে অনুষ্ঠান সাজাতে যেখানে দর্শকরা হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠতে পারেন। সেসব অনুষ্ঠানে শিল্পীদের যে ধরনের গান গাইতে হয়, সে ধরনের গান আমার গাওয়া হয়ে ওঠে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ