তিনবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না কেউ
Published: 21st, April 2025 GMT
বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে নতুন প্রস্তাব হিসেবে এসেছে– কেউ তিনবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না। দুইবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর, বিরতি দিয়ে তৃতীয় এবং শেষবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশন সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে নতুন এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ছিল, কেউ জীবনে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিএনপি বলছে, টানা দু’বারের বেশি না পারলেও বিরতি দিয়ে যতবার খুশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখতে হবে। এ সুযোগ সংকুচিত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে বিএনপি এবং ঐকমত্য কমিশনের দিনভর বৈঠকের দ্বিতীয় পর্বে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হয়। মধ্যাহ্ন বিরতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ নিয়ে দলীয় মতই পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের পর বিকেলে তিনি বলেন, ‘কমিশন আরেকটি প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে মতামত জানাবে বিএনপি।’ কমিশন কী প্রস্তাব দিয়েছে, তা বলেননি সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, সংবিধান সংস্কারের যেসব সুপারিশে বিএনপি একমত হচ্ছে, সেগুলোও পরবর্তী সংসদে বাস্তবায়ন করা হবে। জুলাই সনদে সব দলই অঙ্গীকার করবে। যে-ই ক্ষমতায় যাক, ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ নিয়ে বিএনপির অনড় অবস্থানের পর কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রস্তাব করেন, প্রধানমন্ত্রী পদ তিন মেয়াদে সীমাবদ্ধ করা যেতে পারে। এতে বিএনপি নেতারা নমনীয়তা দেখিয়েছেন। দলীয় ফোরামে আলোচনার পর মতামত জানানোর কথা বলেন।
সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দিনব্যাপী বৈঠক করে বিএনপি। সেদিন সংবিধান সংস্কার কমিশনের ৭০ সুপারিশের আংশিক এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ২৩ সুপারিশের তিনটি নিয়ে আলোচনা হয়। গতকাল দিনব্যাপী বৈঠকেও সংবিধান সংস্কারের সব সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়নি। সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, নির্বাহী বিভাগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংবিধান সংস্কারের বাকি অংশ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার আলোচনা হবে। এর পর নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুদক সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হবে।
কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনকারী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সমকালকে বলেন, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কমিশনের জিজ্ঞাসার জবাব দিয়েছেন। আরও আলোচনা হবে।
এনসিসিতে এখনও রাজি নয় বিএনপি
সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ বাদে বাকি সব কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী করেন রাষ্ট্রপতি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমাতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন। আগে দেওয়া মতামত এবং বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও বিএনপি জানিয়েছিল, এ সুপারিশে একমত নয়। এনসিসি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করবে।
কমিশন সুপারিশ করেছে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, উচ্চ ও নিম্নকক্ষের স্পিকার, বিরোধী দল থেকে উচ্চ ও নিম্নকক্ষে নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতার দলের বাইরে থেকে একজন সংসদ সদস্য নিয়ে ৯ সদস্যের এনসিসি গঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন, কর্ম কমিশন, অ্যাটর্নি জেনারেলের মতো দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হবে। এনসিসি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে এবং তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ করা হবে। সুপারিশ অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন– তাও বাছাই করবে এনসিসি। সংসদ ভেঙে গেলে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার মনোনীত দু’জন উপদেষ্টাকে নিয়ে এনসিসি গঠিত হবে।
রোববার মধ্যাহ্ন বিরতির পর বৈঠকে আলোচনা হয় বহুল আলোচিত এনসিসি নিয়ে। সূত্র জানায়, বিএনপি নেতারা বলেন, সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতার এনসিসি বহাল থাকলে রাষ্ট্রের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। তখন কমিশন জানতে চায়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কীভাবে নিয়োগ হবে? বিএনপি নেতারা সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগের প্রস্তাব করেন। কমিশন সদস্যরা বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন, দুদক গঠিত হচ্ছে। কিন্তু অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। সরকারের অনুগত ব্যক্তিরা নিয়োগ পেয়েছেন। বিএনপিকে এনসিসির বিকল্প থাকলে প্রস্তাব করতে অনুরোধ করা হয়। কমিশন জানায়, এনসিসি গঠনই প্রধানতম সংস্কার।
তখন বিএনপির তরফে বলা হয়, আপিল বিভাগে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়েছে। রিভিউ গৃহীত হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতার সংকট কাটবে। এ পর্যায়ে কমিশন মনে করিয়ে দেয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন– ২০০৬ সালে এই বিরোধের জেরেই শেখ হাসিনার উত্থান হয়। তিনি স্বৈরাচারে পরিণত হন। বিএনপির তরফে তখন বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পরিমার্জন করা যেতে পারে।
গণভোট নয়, দুই-তৃতীয়াংশে রাজি
বিএনপি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সুপারিশে একমত হলেও সাধারণ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনে গতকালের আলোচনায়ও রাজি হয়নি বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে। তবে দলটি একমত হয়েছে, নিম্ন এবং উচ্চকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে সংবিধান সংশোধন হবে। সব সংশোধনে গণভোটে রাজি হয়নি।
বিএনপি প্রস্তাব করে, সংসদে প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে যেভাবে সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টন করা হয়, সেভাবেই উচ্চকক্ষের আসন বণ্টিত হবে। তখন কমিশনের পক্ষে বলা হয়, তাহলে উচ্চকক্ষ গঠন করা-না করা সমান কথা। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সরকারি দলের স্বৈরাচার হওয়া ঠেকাতেই ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের সুপারিশ করা হয়েছে। বিএনপি বাদে সব দল এতে রাজি। বৈঠক সূত্র জানায়, তখন বিএনপি নেতারা জবাব দেন, এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বিএনপি স্থানীয় সরকার কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত সুপারিশকে অগ্রহণযোগ্য বলেছিল। তবে গতকালের বৈঠকে আলোচনায় এসব সুপারিশে নীতিগতভাবে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
যা বললেন বিএনপি নেতারা
বিএনপি সংস্কারে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারসাম্যের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আরও কিছু ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে কমিশনও একমত। সংবিধানের ৪৩(৩)-এর পর আরেকটি অনুচ্ছেদ যোগ করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
রাষ্ট্রপতিকে নির্বাহী, না সাংবিধানিক ক্ষমতা দেওয়া হবে– এ প্রশ্নে সালাহউদ্দিন বলেছেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে– কোন কোন বিষয়ে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তবে তিনি আভাস দিয়েছেন, নির্বাহী ক্ষমতা পাবেন না রাষ্ট্রপতি। এনসিসিতে নারাজি বিএনপি সাংবিধানিক নিয়োগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করতে পারে।
এনসিসির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের সুপারিশে বিএনপি একমত হয়নি বলে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে পরে প্রস্তাব করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে বিচার বিভাগকে দূরে রাখার কথা রয়েছে আদালতের রায়ে।
স্থানীয় সরকারের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিএনপি একমত। স্থানীয় সরকারের নির্বাচন সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত করায় নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এগুলো সংবিধানে সংযোজনের প্রয়োজন নেই। আইনই যথেষ্ট। তবে আইন হবে পরবর্তী সংসদে। ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’-এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হবে। আইন সংশোধন করা যাবে। কিন্তু রোজ রোজ সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয়।
কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদের পাশাপাশি প্রস্তাবিত ‘জেলা সমন্বয় পরিষদ’কে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ গণ্য করার সুপারিশ করেছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, জেলা সমন্বয় পরিষদের ধারণায় বিএনপি একমত হয়েছে। তবে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’-এ একমত নয়। বাংলাদেশে এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে স্থানীয় সরকারকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজন নেই। সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে না করার সুপারিশে একমত হয়েছে বিএনপি।
রোববার বেলা ১১টায় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। একই ব্যক্তি সরকারপ্রধান, দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না– ঐকমত্য কমিশনের এ প্রস্তাবে বিএনপি একমত নয় বলে জানান দলটির নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব করেছে জানিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেখানে ধর্মনিরপেক্ষ বা বহুত্ববাদ কোনোটাই নেই। সংবিধানে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেট প্রাপ্তির বিষয়ে একমত বিএনপি। তবে, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হয় রাষ্ট্রকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে কিছু বিষয়ে কাছাকাছি এসেছি। কিছু বিষয়ে দ্বিমত জানিয়েছি। গণতন্ত্রে মত-দ্বিমত থাকাই স্বাভাবিক। আমরা বাকশালে বিশ্বাস করি না।’
ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ল হউদ দ ন আহম দ র ষ ট রপত প রব ন ন ব এনপ র র সদস য র ক ষমত ক সরক র কম ট র বল ছ ন গতক ল এনস স মত মত
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের পরে তো প্রশ্নই আসে না
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাব একত্রিত করে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো প্রকাশে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগার কথা নয়। সে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদে স্বাক্ষর করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা দরকার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সেটা ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ারও দরকার নেই। ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা সেটা সিদ্ধান্ত নিয়ে, আমরা জাতীয় সনদ সই করে ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করা সম্ভব। ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না বরং আগে করা সম্ভব।’
রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠকে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকতউল্লা বুলু এবং গণ অধিকার পরিষদের পক্ষে দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সহসভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসানসহ দলটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু বলেন, ঐকমত্য কেউ সৃষ্টি করছে না, সবাই সবার মতামত দিয়েছে, সুতরাং যেসব জায়গায় ঐকমত্য হবে, সেগুলো শুধু আমরা সংস্কারের মধ্যে নিয়ে আসব। আর যেগুলো ঐকমত্য হবে না, সেগুলো নির্বাচনের পরে যার যার ম্যান্ডেটের জন্য যাবে এবং ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে এটা পাস করবে।
তিনি বলেন, ‘বুঝেশুনে না বুঝলে সেটা কোনো সমাধান না। সুতরাং অতিসত্বর আমরা সংস্কারের ঐকমত্য নির্ধারণ করে জাতীয় সনদ সই করে ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের যথেষ্ট সুযোগ রাখা আছে এবং করা সম্ভব।’