জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, সরকার দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব করছে, এটা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। তিনি বলেন, সরকার একটা দল গঠন করেছে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সংস্কার চালাচ্ছে। যেনতেনভাবে তাদের নির্বাচনে পাস করালে, সেটি হাসিনার নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে কি না—সেই প্রশ্নও তোলেন জি এম কাদের।

রোববার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জি এম কাদের এ কথাগুলো বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হবেন, তাঁরাই প্রয়োজনমতো সংস্কার করবেন। এখন যাঁরা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা তো এলিয়েন।’

জি এম কাদের বলেন, সব সমস্যা সমাধানের জন্য একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে। সরকারকে বৈধ করতেই সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।

জাপা নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে অভিযোগ করে দলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল, তাদের লাঙ্গল প্রতীক দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কাউন্সিল করার জন্য আমাদের হল ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না।’

জি এম কাদের বলেন, জাতি এক কঠিন সময় পার করছে। সারা দেশে ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে দেশের মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদের পতনে নব্য ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছে। নব্য ফ্যাসিবাদ ও তার দোসররা সারা দেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সরকারও শেখ হাসিনার মতো একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে।

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও ফ্যাসিবাদকে রুখতে হবে। কাউকে আক্রমণ করতে বলছি না, কিন্তু আক্রান্ত হলে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এম ক দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: শামসুজ্জামান দুদু

বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বর্তমান সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সেই উদ্যোগ না নিলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখা কঠিন হবে। সে জন্যে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মানুষকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। মানুষের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার ক্ষমতা দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যা শুধু দেশকে রক্ষা করতে পারবে এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবে।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশ’–এ তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সব অর্থে ভারতের ক্রীতদাসে পরিণত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারত আমাদেরকে নানাভাবে উসকানি দিচ্ছে।’

শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত একজন ফ্যাসিস্টকে জায়গা দিয়ে নিজেকেও ফ্যাসিস্ট প্রমাণ করেছে। ভারতকে আমরা বন্ধুরাষ্ট্র মনে করি। কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করে কি না’, সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। তিনি ভারতকে উদ্দেশ করে বলেন, বাংলাদেশ কখনো ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। ভারতেরও বাংলাদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপত্বিতে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে’
  • বাংলাদেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: শামসুজ্জামান দুদু
  • নির্বাচন ছাড়া দেশ আর কতদিন চলবে: রিজভী