বাবার চেক বুঝে নিতে এফডিসিতে হৃদয়
Published: 20th, April 2025 GMT
আজ রোববার খুব ভোরে ঘুম ভাঙে সাত বছর বয়সী হৃদয় চন্দ্র সাহার। ভোরের আলো ফোটার পর মায়ের সঙ্গে সাভার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে। গন্তব্য বাবার কর্মস্থল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। এখানে এর আগে অনেক আসা হলেও এবার হৃদয় এসেছে শেষবারের মতো। বাবাকে ছাড়াই। এফডিসির সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রয়াত অধীর চন্দ্র সাহার অবসর ভাতার চেক নিতে মায়ের সঙ্গে তার আসা। বিএফডিসির ২৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অবসর ভাতার চেক হস্তান্তর করা হয় আজ রোববার। এর মধ্য দিয়ে বাবার কর্মস্থল বিএফডিসির সঙ্গে লেনদেন শেষ হয় হৃদয়ের পরিবারের।
প্রায় ২৪ বছর ধরে বিএফডিসিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরি করেছেন অধীর চন্দ্র সাহা। ২০২৩ সালে ক্যানসারে মারা যান তিনি। যা সম্বল ছিল, ক্যানসারের চিকিৎসায় তা হারিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে অকূলপাথারে পড়েন তাঁর স্ত্রী ছিয়া রানী দাস। সন্তানদের পড়ালেখা বন্ধ হয়, স্বামীর অবসর ভাতার জন্য বিএফডিসির প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তাদের দুয়ারে দুয়ারে কয়েক বছর ধরে ঘুরেছেন তিনি। এর মধ্যে বিএফডিসির ব্যবস্থপনা পরিচালক বদলেছে তিন দফায় কিন্তু স্বামীর অবসর ভাতা পাননি ছিয়া রানী। আজ তাঁর অপেক্ষার প্রহর ফুরায়, বিএফডিসি থেকে স্বামীর পাওনা টাকার সমপরিমাণ অর্থের চেক বুঝে পান তিনি।
এফডিসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চেক বিতরণ করেন। এর আগে আগত ব্যক্তিদের মিষ্টিমুখ করান, সঙ্গে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র অবসর ভ ত ব এফড স র
এছাড়াও পড়ুন:
অবসরের সময় হয়ে গেছে—আইপিএলে ‘সুপার ফ্লপ’ রোহিতকে নিয়ে শেবাগ
এমন চলছে বছরের পর বছর। রোহিত শর্মা আইপিএলে ম্যাচের পর ম্যাচ খেলেন আর ব্যর্থ হন। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে তাঁর রান মোট ৮৪। বোঝাই যাচ্ছে ‘সুপার ফ্লপ’। আইপিএলে এমন রোহিতকে দেখে ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ তো বলেই দিয়েছেন, রোহিতের অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে।
আইপিএলে রোহিত ২০১৩ সালের পর কখনো এক মৌসুমে ৫০০ রান করতে পারেননি। এ সময়ে ৪০০ রানের ক্লাব ছুঁয়েছেন মাত্র ৪ মৌসুমে।
২০১৬ সালের পর থেকে ২০২৩ সালের আইপিএল পর্যন্ত ৭ মৌসুমে কখনো ৩০ গড়েও রান করতে পারেননি। এ সময়ে গড়ের হিসাবে তাঁর সেরা মৌসুম ছিল ২০২১ সালে। সেবার ১৩ ম্যাচে ২৯ গড়ে ৩৮১ রান করেছিলেন রোহিত।
রোহিতের সঙ্গে একই সময়ের ডেভিড ওয়ার্নারের তুলনা দেওয়া যেতে পারে। ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪—এ সময়ে ওয়ার্নার আইপিএলে ৫০০–এর বেশি রান করেছেন সাতবার। বিরাট কোহলি পাঁচবার, যেখানে ২০১৬ সালে করেছেন ৯৭৩ রান। ২০২৩ সালে ৬৩৯, গত বছর ৭৪১ রান।
আর ১০টা বল নাও, কিন্তু অন্তত টিকে থাকো এবং নিজেকে একটা সুযোগ দাও। বারবার ও ব্যাক-অব-দ্য-লেংথ ডেলিভারিতে পুল শট খেলতে গিয়ে আউট হচ্ছে। তাই রোহিতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এক ইনিংসে ও একবারও পুল শট খেলবে না।ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগআইপিএলে স্ট্রাইক রেটও কখনোই আহামরি ছিল না রোহিতের। আইপিএল ক্যারিয়ারে রোহিত সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেন গতবার—১৫০।
রোহিতকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এ কারণেই। কাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ৪ উইকেটে জয়ের ম্যাচে ২৬ রানে আউট হওয়া রোহিতকে নিয়ে ক্রিকবাজে শেবাগ বলেছেন, ‘রোহিতের অবসরের সময় হয়ে গেছে এবং এর আগে তার এমন কিছু দেওয়া উচিত ভক্তদের, যা মনে রাখার মতো হয়—এমন কিছু যা মানুষকে ভাবায়, ‘ওকে এখন বাদ দিচ্ছে না কেন?’
রোহিতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শেবাগ বলেছেন, ‘যদি আপনি গত ১০ বছরে রোহিতের আইপিএলের পরিসংখ্যান দেখেন, তাহলে দেখবেন ও মাত্র একবারই ৪০০ রানের বেশি করেছে। অর্থাৎ ও সেই ধরনের খেলোয়াড় না যে ভাবে তাকে ৫০০ বা ৭০০ রান করতেই হবে। কিন্তু যদি রোহিত ভাবে, তাহলে হয়তো করতেও পারে। যখন ও ভারতের অধিনায়ক হয়, তখন বলেছিল সে এমন একজন খেলোয়াড় হতে চায় যে পাওয়ারপ্লেতে সুযোগ নেবে, ঝুঁকি নেবে—সব আত্মত্যাগ নিজে করতে চায়। কিন্তু সে এ বিষয়টা বিবেচনা করছে না, যখন নিজে পারফর্ম করছে না, তখন ওর নিজের লিগ্যাসিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ