হামজা ও শমিতের পর লাল-সবুজের জার্সি পরতে যাচ্ছেন সান্ডারল্যান্ডের মিচেল
Published: 20th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ ফুটবলে আরেকটি রোমাঞ্চকর অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বিএফএফ) প্রতিশ্রুতিশীল মিডফিল্ডার কিউবা রাউল মিচেলকে দলে ভেড়ানোর ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ১৯ বছর বয়সী ফুটবলার বর্তমানে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলছেন। ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন বিএফএফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান ও প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশি ফুটবল সমর্থক গোষ্ঠী ‘সেভ বাংলাদেশ ফুটবল’।
আগামী জুন থেকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলার ব্যাপারে মিচেলের মতামত জানতে তার এজেন্ট বেন ডারকেলের সঙ্গে শনিবার অনুষ্ঠানিকভাবে ই-মেইলে যোগাযোগ করেন ইমরুল। রবিবার (২০ এপ্রিল) সেই ইমেলের জবাবে মিচেলের এজেন্ট ছিলেন ইতিবাচক।
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে গেলে সামনে কি ধরনের ধাপ পেরুতে হবে এবং অর্থিক কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে সেই ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন মিচেলের এজেন্ট ডারকেল। ইমরুল সকল তথ্যই সরবরাহ করেছেন।
আরো পড়ুন:
লাল-সবুজের জার্সিতে খেলবেন সামিত, জানিয়ে দিলেন আনুষ্ঠানিক সম্মতি
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ইমরুল হাসান
ডারকেলের সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে বাংলাদেশের কনফিইঞ্জা স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। এই স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান মার্চের শেষদিকে এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে।
ইমরুল আশা করছেন, দুই একদিনের মধ্যে মিচেলের কাছ থেকে একটি চূড়ান্ত উত্তর পাওয়া যাবে, ‘‘যদি সে সম্মতি দেয়, তাহলে আমরা জুনের ম্যাচের জন্য তাকে পাওয়ার আশায় থাকতে পারি।’’
এদিকে ‘সেভ বাংলাদেশ ফুটবল’ গোষ্ঠীকে মিচেল জানিয়েছেন, ‘‘আমি বাংলাদেশের প্রতি আমার আনুগত্য প্রকাশ করেছি। আমি বেঙ্গল টাইগারদের প্রতিনিধিত্ব করতে এবং সকল ভক্তরা আমাকে বরণ করে নেওয়ার দিকেই নজর দিচ্ছি।’’
হামজা চৌধুরী এবং শমিত শোম যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্যাপারটা প্রথম আবিষ্কার করেন বাংলাদেশ ফুটবল সমর্থক গোষ্ঠী ‘ওয়াকিং অ্যারাউন্ড দ্যা ড্রিমে’র প্রতিষ্ঠাতা আরফিন জিসান। এই তরুণ ফুটবল সংগঠকের সঙ্গে মিচেলের ব্যাপারে রাইসিংবিডির আলাপ হয়। জিসান জানান, ‘‘ব্যাপারটা শতভাগ ইতিবাচক দিকেই এগুচ্ছে।’’
২০০৫ সালে এক বাংলাদেশি মা ও জ্যামাইকান বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া কিউবার সামনে রয়েছে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ অথবা জ্যামাইকার হয়ে খেলার বিরল সুযোগ। তবে বার্মিংহ্যামের একাডেমিতে বেড়ে উঠা মিচেল ইংল্যান্ডের কিংবা জামাইকার বয়সভিত্তিক দলে কখনো খেলেননি। তাই মিচেলকে পাওয়ার প্রক্রিয়াটি অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।
বার্মিংহামের একাডেমিতে বেড়ে ওঠার সময়, মিচেল সপ্তাহে অন্তত একদিন প্র্যাকটিস করতেন একাডেমির সিনিয়রদের সাথে। সেই সিনিয়র দলে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ এবং ইংল্যান্ডের তারকা জুড বেলিংহ্যামকে। বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেলে সেই অভিজ্ঞতার ঝুড়ি নিশ্চিতভাবে বয়ে নিয়ে আসবেন মিচেল।
এদিকে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হামজার অভিষেক হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের জার্সিতে। শমিত শোমের অন্তর্ভুক্তির আলোচনা এগিয়েছে বহু দূর। এসব থেকে একটা ব্যাপার স্পষ্ট যে, আসন্ন জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে তাবিথ আওয়ালের নেতৃত্বাধীন বিএফএফ বাংলাদেশ দলকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ল দ শ ফ টবল ইমর ল
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।