স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম ১৫ হাজার টাকা বাড়ল
Published: 20th, April 2025 GMT
স্বর্ণের দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার স্মারক স্বর্ণ মুদ্রার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার প্রতিটি স্বর্ণমুদ্রার মূল্য ১৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা এতদিন ছিল এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণে এ দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার (২০ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ ক্যারেট মানের প্রতিটি স্মারক স্বর্ণমুদ্রার ওজন ১০ গ্রাম এবং মুদ্রাগুলো বিশেষ ডিজাইনে তৈরি। এর আগে এসব মুদ্রা বিক্রি হতো ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়। এ ছাড়া ফাইন সিলভার দিয়ে তৈরি স্মারক রৌপ্যমুদ্রার দামের বিষয়ে এখনো কোনো পরিবর্তনের ঘোষণা আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাড়তে থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রিত স্বর্ণমুদ্রার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। স্মারক মুদ্রাগুলো মূলত উপহার, সম্মাননা বা সংগ্রহযোগ্য বস্তু হিসেবে ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন
সিলেটের বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিপেশ তালুকদার (৪২) নামে এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী (ফেরিওয়ালা) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পীরের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাত ১১টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত নিপেশ তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামের সানন্দ তালুকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার তেমুখিস্থ খালেদ মিয়ার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।
প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিপেশ তালুকদারকে স্থানীয়রা বাবু নামে চিনতেন। তিনি (নিপেশ) প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে বাজারে বাজারে পান, সুপারি, সিগারেট, কয়েল ইত্যাদি ফেরি করে বিক্রি করতেন। রোববারও সন্ধ্যায় একইভাবে বাইসাইকেল দিয়ে মালামাল বিক্রি শেষে পীরের বাজারের পশ্চিমে যাওয়া মাত্রই অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মালপত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পীরের বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ আলীর চায়ের দোকানে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানান। কিন্তু লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে একদল পুলিশসহ রাত ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তারা লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী হত্যার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।