বরিশালে ইজিবাইকচালকের ‘ঝুলন্ত’ লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি, হুমকি পেয়ে ‘আত্মহত্যা’
Published: 20th, April 2025 GMT
বরিশাল নগরে মোস্তাফিজুর রহমান (৪০) নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) এক চালকের ‘ঝুলন্ত’ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে হুমকি পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
আজ রোববার সকালে নগরের চৌমাথার হাতেম আলী কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর লাশ বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
মারা যাওয়া মোস্তাফিজুরের স্ত্রী হনুফা আক্তার জানান, কয়েক বছর ধরে নিজের পৈতৃক জমিতে বসবাস করছিলেন তাঁরা। ওই জমি নিয়ে চাচাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। বেশ কয়েক দিন ধরে ওই জমি দখলের হুমকি পেয়ে আসছিলেন মোস্তাফিজ। হুমকি পেয়ে তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। সেই হতাশা ও আতঙ্ক থেকে আজ ভোরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ‘আত্মহত্যা’ করেন তিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
মোস্তাফিজের ভগ্নিপতি মো.
কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান এবং লাশ উদ্ধার করেন। এখন লাশ শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন
সিলেটের বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিপেশ তালুকদার (৪২) নামে এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী (ফেরিওয়ালা) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পীরের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাত ১১টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত নিপেশ তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামের সানন্দ তালুকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার তেমুখিস্থ খালেদ মিয়ার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।
প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিপেশ তালুকদারকে স্থানীয়রা বাবু নামে চিনতেন। তিনি (নিপেশ) প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে বাজারে বাজারে পান, সুপারি, সিগারেট, কয়েল ইত্যাদি ফেরি করে বিক্রি করতেন। রোববারও সন্ধ্যায় একইভাবে বাইসাইকেল দিয়ে মালামাল বিক্রি শেষে পীরের বাজারের পশ্চিমে যাওয়া মাত্রই অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মালপত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পীরের বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ আলীর চায়ের দোকানে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানান। কিন্তু লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে একদল পুলিশসহ রাত ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তারা লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী হত্যার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।