খুলনায় আরও তিন স্থানে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, প্রশাসনের নির্লিপ্ততার অভিযোগ এনসিপির
Published: 20th, April 2025 GMT
খুলনায় আরও তিন স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সকালে জিরো পয়েন্ট এলাকায় মিছিল করার পর দুপুরে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার মজিদ সরণি, বয়রা এলাকার মহিলা কলেজ সড়ক ও দৌলতপুরে ঝটিকা মিছিল করা হয়। এদিকে ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নির্লিপ্ততার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রতিবাদ এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে ওই মিছিল করা হয়। এ ছাড়া সকালে মিছিলের পর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়ার দাবি করেছেন দলটির নেতারা। যদিও জেলা প্রশাসক স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, সকালে জিরো পয়েন্ট এলাকায় মিছিল শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রহসনমূলক, ঘৃণ্যতম অসাংবিধানিক ও বেআইনি কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কোনো স্মারকলিপি পাননি। তবে ফ্রন্ট ডেস্কে কেউ স্মারকলিপি দিয়ে গেছেন কি না, তিনি জানেন না।
এনসিপির প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় খুলনা প্রেসক্লাবে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম রকল প ম ছ ল কর এনস প আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন
সিলেটের বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিপেশ তালুকদার (৪২) নামে এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী (ফেরিওয়ালা) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পীরের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাত ১১টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত নিপেশ তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামের সানন্দ তালুকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার তেমুখিস্থ খালেদ মিয়ার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।
প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিপেশ তালুকদারকে স্থানীয়রা বাবু নামে চিনতেন। তিনি (নিপেশ) প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে বাজারে বাজারে পান, সুপারি, সিগারেট, কয়েল ইত্যাদি ফেরি করে বিক্রি করতেন। রোববারও সন্ধ্যায় একইভাবে বাইসাইকেল দিয়ে মালামাল বিক্রি শেষে পীরের বাজারের পশ্চিমে যাওয়া মাত্রই অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মালপত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পীরের বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ আলীর চায়ের দোকানে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানান। কিন্তু লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে একদল পুলিশসহ রাত ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তারা লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী হত্যার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।