কুয়েটের ভিসিকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
Published: 20th, April 2025 GMT
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছেন তারা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে কুয়েট ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালেও উপাচার্য নিরাপত্তা দিতে পারেননি। উল্টো ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বাইরের একজন আদালতে মামলা করেছেন। ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হামলাকারী নয়, বরং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
আরো পড়ুন:
ছয় দাবিতে রংপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, আল্টিমেটাম
পাঁচ দিনেও অপহৃত চবির ৫ শিক্ষার্থী উদ্ধার হয়নি
তারা জানান, শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে অনড়। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা দেশবাসী ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরতে চান যে, কুয়েটে ছাত্ররা ভালো নেই।
কুয়েট ক্যাম্পাসে ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো-ভিসি, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
বন্ধের ৫২ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং আগামী ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন ছাত্ররা।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাজারো আফগানকে বহিষ্কার পাকিস্তানের
পাকিস্তান চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ৩০ এপ্রিল সময়সীমার আগেই ৮০ হাজারের বেশি আফগান পাকিস্তান ছেড়েছে; এরাও তাদের মধ্যে আছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
নথিবিহীন আফগান ও যাদের অবস্থান করার অস্থায়ী অনুমতি ছিল, তাদের বহিষ্কার করার পদক্ষেপ জোরদার করেছে ইসলামাবাদ। অতিরিক্ত শরণার্থীর চাপ তারা আর বহন করতে পারছে না বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ পরিবারকে ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ২০ লাখ আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার শনিবার কাবুল যান। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির কান মুত্তাকি শরণার্থী আফগানদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। রয়টার্স।