স্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য, প্রতিবাদ করায় মারধর
Published: 20th, April 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে স্ত্রীকে বাজে ইঙ্গিত এবং অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছেন স্বামীসহ তিনজন। আজ রোববার স্টেশনে বেড়াতে গিয়ে হামলার শিকার হন তারা। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
হামলায় চুন্নু আলম, তাঁর স্ত্রী সাদিয়া পারভিন মালা ও তাদের বন্ধু সোলেমান ইসলাম সাগরের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, শহরের ফতেমোহাম্মদপুর এলাকার চুন্নু আলম স্ত্রী সাদিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাইপাস স্টেশনে বেড়াতে যান। তারা সেখানকার বিভিন্ন দৃশ্যের ছবি তুলছিলেন। এ সময় সিহাব হোসেন ও সোহান আলী নামের দুই তরুণ তাঁর স্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশালীন ভাষায় বাজে ইঙ্গিত করে।
চুন্নু স্ত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ জানালে দু’জনসহ সঙ্গে থাকা রমজান আলী, মতিউর রহমান, পাঁচু মিয়াসহ কয়েকজন তাঁর ওপর চড়াও হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে সেখানে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে বন্ধু সাগর তাঁকে উদ্ধার করতে এলে তাঁকেও মারধর করে। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ জানান।
আহত চুন্নু বলেন, ‘আমি স্ত্রীকে বাইপাস স্টেশনের গ্রামীণ পরিবেশ ও সৌন্দর্য দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে বখাটেরা তাঁকে ইভটিজিং করলে আমি প্রতিবাদ করি। এতে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে নেতৃত্ব দেয় সিহাব ও সোহান।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার প্রভাবশালী মতিউর রহমান ওরফে মতি মেম্বারের ছেলে সিহাব। তিনি বাবার দাপটে এলাকায় বখাটে আচরণ করলেও ভয়ে কেউ তাকে কিছু বলে না। এ বিষয়ে চেষ্টা করেও সিহাব ও সোহানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সিহাবের বাবা মতিউর রহমান বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, বাইপাস স্টেশনের ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছেন। থানায় দেওয়া অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন
সিলেটের বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিপেশ তালুকদার (৪২) নামে এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী (ফেরিওয়ালা) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পীরের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাত ১১টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত নিপেশ তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামের সানন্দ তালুকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার তেমুখিস্থ খালেদ মিয়ার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।
প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিপেশ তালুকদারকে স্থানীয়রা বাবু নামে চিনতেন। তিনি (নিপেশ) প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে বাজারে বাজারে পান, সুপারি, সিগারেট, কয়েল ইত্যাদি ফেরি করে বিক্রি করতেন। রোববারও সন্ধ্যায় একইভাবে বাইসাইকেল দিয়ে মালামাল বিক্রি শেষে পীরের বাজারের পশ্চিমে যাওয়া মাত্রই অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মালপত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পীরের বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ আলীর চায়ের দোকানে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানান। কিন্তু লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে একদল পুলিশসহ রাত ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তারা লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী হত্যার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।