সোনারগাঁয়ে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ সীমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সীমা আক্তার সদর থানার চাষাঢ়া এলাকার গলাচিপা কলেজ রোডের জনির বাড়ির ভাড়াটিয়া। 

রবিবার (২০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী।

এরআগে শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজার পশ্চিম পার্শ্বে চেকপোস্ট বসিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ওই ইয়াবাসহ সীমা আক্তারকে গ্রেপ্তারকে করা হয়।  

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে রবিবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সীমা পুলিশকে জানায়, তিনি এসব ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।

পুলিশ জানায়, সোনারগাঁও থানার এসআই রতন বৈরাগী ও নারী কনস্টেবল তানজিল সঙ্গীয় অফিসারদের নিয়ে চেকপোস্ট-৭ ডিউটি করছিলেন।

চেকপোস্টে সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশির একপর্যায়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আসা ‘স্বাধীন সার্ভিস মিনি বাস’ (রেজি.

নং: মুন্সিগঞ্জ-জ-১১-০০৭৩) থামানো হলে এক নারী যাত্রী হঠাৎ বাস থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন।

তৎক্ষণাৎ পুলিশ তাকে আটক করে। পরে নারী কনস্টেবল তানজিল কর্তৃক তল্লাশিতে ওই নারীর হাতে থাকা খয়েরি রঙের সাইড ব্যাগ থেকে স্কচটেপে মোড়ানো পাঁচটি নীল রঙের জিপার প্যাকেট পাওয়া যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ২০০ করে মোট ১ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন

সিলেটের বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিপেশ তালুকদার (৪২) নামে এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী (ফেরিওয়ালা) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পীরের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে রাত ১১টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত নিপেশ তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামের সানন্দ তালুকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার তেমুখিস্থ খালেদ মিয়ার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।

প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিপেশ তালুকদারকে স্থানীয়রা বাবু নামে চিনতেন। তিনি (নিপেশ) প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে বাজারে বাজারে পান, সুপারি, সিগারেট, কয়েল ইত্যাদি ফেরি করে বিক্রি করতেন। রোববারও সন্ধ্যায় একইভাবে বাইসাইকেল দিয়ে মালামাল বিক্রি শেষে পীরের বাজারের পশ্চিমে যাওয়া মাত্রই অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মালপত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পীরের বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ আলীর চায়ের দোকানে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানান। কিন্তু লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।

খবর পেয়ে একদল পুলিশসহ রাত ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তারা লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী হত্যার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ