ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাইকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে বরিশালে গণ মিছিল করেছে বরিশাল সিটির সর্বস্তরের জনগণ। 

রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হল থেকে শুরু হওয়া গণমিছিলটি ফজলুল হক এভিনিউ কোর্টের সামনে জমায়েত হয়। এসময় মুফতি ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান তোলে উপস্থিতিরা। 

গণ মিছিলে সর্বস্তরের জনগণের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে একই দাবিতে মাঠে নেমেছে হিন্দু ধর্মালম্বী বিভিন্ন সংগঠন। তাদের মতে শায়েখে চরমোনাই মেয়র হলে বরিশালের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।

গত ১৭ এপ্রিল মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই আদালতে হাজির হয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে আয়োজিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের অনিয়মগুলো উল্লেখ করে সেই নির্বাচনের সঠিক ফলাফল ঘোষণা অর্থাৎ শায়েখে চরমোনাইকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন।

আজ সে মামলার শুনানির দিন ধার্য্য থাকলেও আদালত ২৪ এপ্রিল মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মামলার পর থেকে বরিশালের সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে শায়েখে চরমোনাইকে মেয়র ঘোষণার দাবি দিনদিন জোরালো হচ্ছে। মাঠে নামছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও পেশাজীবি বিভিন্ন সংগঠনও দাবি জানিয়ে আসছে।

ঢাকা/পলাশ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল চরম ন

এছাড়াও পড়ুন:

অলির এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সারওয়ার্দী

অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। তাঁকে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত আরও কিছু সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে এলডিপিতে যোগ দিয়েছেন।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তাঁরা অলি আহমদের দলে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘তাঁদের যোগদানে এলডিপি আরও শক্তিশালী হলো। আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই।’

অলি আহমদের হাতে ফুল দিয়ে এলডিপিতে যোগ দেওয়ার পর সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেন, ‘এই দলে যুক্ত হয়ে আমি সত্যিকারের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করতে পারব। আমরা একটি শোষণহীন সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’ তিনি বলেন, জনগণের বেঁচে থাকা, ভোট দেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার সবকিছুর সঙ্গে রাজনীতি জড়িত। সবচেয়ে বড় মানবসেবা করতে পারে রাজনীতিবিদেরা।

পরে অলি আহমদ অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ হয় আপনারা দেশের জন্য কাজ করছেন না; বরং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের অপেক্ষায় আছেন। যাঁরা রাজনীতি করেন, যাঁরা জনগণের প্রতিনিধি, তাঁরাই ঠিক করবে অন্তবর্তীকালীন সময় কতটুকু হবে। আপনি বা অন্য কেউ ঠিক করবেন না।’

সংস্কারের নামে জনগণের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার নাটক করছে উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য না হলে সংস্কারের নাটক করেও লাভ হবে না। তিনি সরকারকে যথাসময়ে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নইলে তাঁদেরকেও আওয়ামী লীগের মতো পালাতে হবে।

এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব, দেরি হলে সংকট বাড়বে
  • আমরা যদি দুর্নীতি করি সেটাও আপনারা আমাদের দেখিয়ে দেবেন: দুদক চেয়ারম্যান
  • বিএনপির জন্ম হয়েছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য: সালাম
  • অলির এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সারওয়ার্দী
  • জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে বিএনপিই দেশ সংস্কার করবে: রিজভী
  • জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে যা যা থাকা উচিত
  • খুনিদের বিচার ও সংস্কার ছাড়া জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না: জামায়াতের আমির
  • জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়, বললেন জিএম কাদের
  • এনসিপির কাছে প্রত্যাশা