‘নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার বেশি দিন থাকলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে’
Published: 20th, April 2025 GMT
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার দেশে বেশি দিন থাকলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে, দেশের প্রচলিত গণতন্ত্র ব্যাহত হবে।
আজ রোববার দুপুরে নাটোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের এক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন। নাটোর জেলা বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান। এ ছাড়া সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) সৈয়দ শওকত খালেক, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান ও ওবায়দুর রহমান। সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংগঠনিক নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আমরাই প্রথম সংস্কার চেয়েছি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান করা খুবই জরুরি। নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার দেশে বেশি দিন থাকলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে, দেশের প্রচলিত গণতন্ত্র ব্যাহত হবে।’ তিনি নাটোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার ওপর গুরুত্ব দেন। ভবিষ্যৎ আন্দোলন ও কর্মসূচির রূপরেখা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমাদের রাজনীতিতে ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। দুঃসময়েও তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দৃঢ়তার সঙ্গে অবস্থান নিয়েছিলেন। দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছিলেন। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সমাজকল্যাণ ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এভাবেই স্মৃতিচারণা করেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সবার ভেতর আলো জ্বেলেছেন—এমন মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তাঁদের সুস্থ করতে পারিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের খালি হাতে খালি পায়ে গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছিল। দেশটাও গত ৫০ বছরে গড়েই উঠল না। গণতন্ত্র, সাম্য, সমাজতন্ত্র, ন্যায়বিচার—সবই আড়ালে থেকে গেল। আমাদের রাজনীতি নিশ্চয় ত্রুটিপূর্ণ ছিল। সেই রাজনীতি ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে।’
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংস্কৃতি বিরাজমান, সেটির পরিবর্তন ঘটেনি। তরুণদের এই শিক্ষাটা মাথায় রাখতে হবে। পেছনের পচে যাওয়া প্রথাগুলো গ্রহণ করে রাজনৈতিক দল গড়তে চাইলে ভুল হবে। আদর্শের জায়গায় দাঁড়াতে হবে। এ জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পথ অনুসরণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ওই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এই সভার মাধ্যমে গতকাল সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের হৃদয়ে বিচিত্র রেখা এঁকে গেছেন। তিনি ছিলেন আমাদের বটবৃক্ষ। দেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। এই বিষয়টি তরুণ প্রজন্মের কাছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অক্ষয় অমর করে রাখবে।’
স্মরণসভায় বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম