সিলেট টেস্টের প্রথম দিনটা একেবারেই ভুলে যাওয়ার মতো কেটেছে বাংলাদেশের জন্য। বৃষ্টির চোখরাঙানি ও আলো স্বল্পতায় খেলা আগেভাগেই থামলেও, মাঠের পারফরম্যান্সে সফরকারী জিম্বাবুয়েরই জয়জয়কার। প্রথমে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেয় মাত্র ১৯১ রানে, এরপর বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। বাংলাদশের বোলাররা খুব একটা ভাবাতে পারেননি জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট (৪০) ও বেন কারেনকে (১৭)। ১০ উইকেট হাতে নিয়ে প্রথম ইনিংসে ১২৪ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। এখন পর্যন্ত চার জন বোলার ব‍্যবহার করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

বাংলাদেশের শুরুটা ছিল সতর্ক। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় শুরুটা ধীরে সুস্থে করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। উদ্বোধনী জুটিতে ৩১ রান যোগ করার পর পরপর দুই ওপেনারকে ফেরান ভিক্টর নিয়াউচি। সাদমান ১২ ও জয় ১৪ রানে বিদায় নেন।

এরপর শান্ত ও মুমিনুল হক মিলে লাঞ্চ পর্যন্ত চালিয়ে যান ইনিংস। দ্বিতীয় সেশনে দুজনের জুটি দাঁড়ায় ৬৬ রানে। তবে শান্ত ৪০ রান করে মুজারাবানির বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর একে একে ধস নামে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনে। মুশফিক (৪), মিরাজ (১), তাইজুল (৩) ব্যর্থ হন।

মুমিনুল ফিফটি তুলে নিলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ১০৫ বলে ৫৬ রান করে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে জাকের আলি অনিক (২৮) কিছুটা লড়াই করেন, হাসান মাহমুদ (১৯) ও নাহিদ রানার (০) বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৭০ ওভারেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও মাসাকাদজা, দুজনেই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। নিয়াউচি ও মাধেভেরের ঝুলিতে গেছে দুটি করে উইকেট।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

‘ও’ পজিটিভের বদলে ‘বি’ পজিটিভি রক্ত পুশ, রোগীর মৃত্যু

মানিকগঞ্জে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় চিকিৎসাধীন এক রোগীর শরীরে ‘ও’ পজিটিভের বদলে ‘বি’ পজিটিভ রক্ত পুশ করায় সেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রক্ত দেওয়ার পর রাত ১০টার দিকে রোগীর মৃত্যু হয়। নিহত ওই রোগীর নাম মো. বিল্লাল। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খাগড়াকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

এর আগে, গত বুধবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

আরো পড়ুন:

চোর সন্দেহে গণপিটুনির ২ দিন পর যুবকের মৃত্যু

ধান মাড়াইয়ের সময় বজ্রপাত, নারীর মৃত্যু

রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে আমাদের ভুল রক্ত দেওয়া হয়েছে। আমরা সেটি এনে নার্সের কাছে দেওয়ার পর নার্সরা বলেন, ডাক্তারের অর্ডারপত্র লাগবে। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর ডাক্তার রক্ত দেখে অর্ডারপত্র দিয়েছেন। এরপর নার্সরা রোগীর শরীরে সেটি পুশ করেন। এরপর থেকেই রোগীর সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। আমরা তখনো বুঝিনি যে রোগীকে ভুল রক্ত দেওয়া হয়েছে। পরে বাইরের একজন লোক বলেন, রোগীকে ভুল রক্ত দেওয়া হচ্ছে। এরপর আমরা হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারদের অনেক ডাকাডাকি করলেও তারা এসে রোগীর কোনো চিকিৎসা দেননি। তারা তড়িঘড়ি করে সেই রক্তের ব্যাগ ও রক্ত সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে চলে যান। পরে রাত ৮টার দিকে আরেকজন ডাক্তার এসে আমাদের রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। আমরা বলেছি, রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার মত অবস্থা আমাদের নেই। এটা একটা সরকারি মেডিকেল, আমাদের রোগীর চিকিৎসা এখানেই করেন। তারপর তারা রোগীকে আর কোনো চিকিৎসা দেয়নি। এটি ভুল রক্ত নাকি সঠিক রক্ত সেটি বোঝার ক্ষমতা তো আমাদের নেই। তারা তিন জায়গায় চেক করে রক্ত দিয়েছে। এক জায়গায় ভুল হতে পারে, তিন জায়গায় তো ভুল হওয়ার কথা না। তাদের ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘‘বিকেল ৪টার দিকে ডিউটিতে ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ঐশী ও মেডিকেল অফিসার ডা. নূরজাহান। সেসময় রোগীর শরীরে ‘ও’ পজিটিভ রক্তের পরিবর্তে ‘বি’ পজিটিভ রক্ত পুশ করা হয়েছে। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আমি রাত ৮টায় ডিউটি শুরু করেছি। আমি ডিউটি শুরু করার পর যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি। এরপরও রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘রোগীর শরীরে খুব বেশি রক্ত যায়নি। তবে, কাগজপত্র না দেখে রক্ত পুশ করা ঠিক হয়নি। এটি একটি মারাত্মক ভুল।’’

রোগীর মৃত্যু সনদে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘‘শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা উল্লেখ করা হয়েছে।’’ ভুল রক্ত পুশ করার বিষয়টি উল্লেখ না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এটি করা হয়েছে।’’

এ বিষয়ে জানতে ইন্টার্ন চিকিৎসক ঐশী ও মেডিকেল অফিসার ডা. নূরজাহানকে খুঁজলেও পাওয়া যায়নি।

মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, ‘‘এ ঘটনায় এখনো আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/চন্দন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাঁজা সেবন করে ধর্ষণের পরিকল্পনা, আদালতে স্বীকারোক্তি
  • পাবনার শিশুটিকে হত্যা ও মুখ ঝলসে দেওয়ার আগে ধর্ষণ করা হয়: পুলিশ
  • যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগ নেতাদের বাড়িতে পুলিশ
  • গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
  • ফেসবুক দেখে জানলেন তিনি খুন হয়েছেন, এরপর যা ঘটল
  • পাকিস্তানের কাছেও হেরে আরও অপেক্ষায় বাংলাদেশের মেয়েরা
  • নিজ ঘরে মিলল যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ
  • ‘ও’ পজিটিভের বদলে ‘বি’ পজিটিভি রক্ত পুশ, রোগীর মৃত্যু
  • হায়দরাবাদের বিপক্ষে ধীর উইকেটের সুবিধা নিল মুম্বাই