ভাত খাওয়ার সময় যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা
Published: 20th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাউজানে মো. মানিক আবদুল্লাহ (৪৫) নামে এক যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গরীবুল্লাহ পাড়াস্থ ভান্ডারি কলোনী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মানিক গরীবুল্লাহ পাড়ার আবদুল মোতালেবের ছেলে। দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে তিনি দেশে আসেন। স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত মানিক আবদুল্লাহ। এলাকার বিভিন্ন স্থানে তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবিসহ তোরণ নির্মাণ এবং ব্যানার টাঙিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
গত বছরের অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে আসেন মানিক। তিনি চট্টগ্রাম নগরীতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া।
জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভান্ডারী কলোনীর হানিফের ভাড়া ঘরে ভাত খেতে যান মানিক। এসময় অজ্ঞাত পরিচয়ের ৮/১০ অস্ত্রধারী তাকে গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যাকারীরা সবাই মুখোশধারী ছিল।
এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান রাউজান থানার ওসিসহ একদল পুলিশ। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভাত খাওয়ার সময় যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রামের রাউজানে এক যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গরিব উল্লাহপাড়া গ্রামের ভান্ডারী কলোনির একটি বাসায় ভাত খাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় একই দলের প্রতিপক্ষের লোকজন জড়িত বলে সন্দেহ নিহত ব্যক্তির পরিবারের।
নিহত যুবদলকর্মীর নাম মুহাম্মদ মানিক আবদুল্লাহ (৩৬)। তিনি গরিব উল্লাহপাড়া গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে। দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে তিনি দেশে আসেন। স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত মানিক আবদুল্লাহ। এলাকার বিভিন্ন স্থানে তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবিসহ তোরণ নির্মাণ এবং ব্যানার টাঙিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মানিক আবদুল্লাহ দেশে ফেরার পর স্ত্রী, ১০ বছর বয়সী ১ ছেলে ও ৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের একটি বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। স্ত্রী-সন্তান ছাড়া গ্রামে এলে ভান্ডারী কলোনির ওই বাসাটিতে ভাত খেতেন। গতকাল রাতেও আরেক যুবদলকর্মীসহ তিনি ওই বাসাটিতে ভাত খাচ্ছিলেন। এ সময় বাসাটিতে ঢুকে ১২ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন। তাঁর শরীরের তিনটি স্থানে গুলি লাগে। হত্যার পর সন্ত্রাসীরা অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে চলে যান।
নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই সাকিল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, একই দলের প্রতিপক্ষের কিছু নেতা-কর্মী তাঁর ভাই মানিক আবদুল্লাহর ওপর তিন মাস আগেও হামলা করেছিলেন। ভাইয়ের ওপর ক্ষোভ থেকে তাঁর কোচিং সেন্টার ও তাঁর বোনের বাড়িতেও হামলা করা হয়। ওই সন্ত্রাসীরাই তাঁর ভাইকে ভাত খাওয়ার সময় গুলি করে হত্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় নির্যাতনের শিকার হয়ে বিদেশে থাকতে হয়েছে আমার ভাইকে। দেশে ফেরার পর দলের প্রতিপক্ষের হাতে জীবন দিতে হলো। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবদলকর্মীর মাথা, ঊরু ও পায়ে গুলি করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, একটি বাসায় দুজন রাতের খাবার খাচ্ছিলেন, এ সময় গুলি করে মানিককে হত্যা করা হয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যজনের কোনো খোঁজ মেলেনি। সন্ত্রাসীরা তাঁকে অপহরণ করেছেন, নাকি তিনি পালিয়ে গেছেন, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ওসি আরও বলেন, মানিককে কিছু সন্ত্রাসী হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন, এমন খবর তাঁরা আগে জেনেছেন। এ বিষয়ে তাঁকেও সতর্ক করা হয়েছিল। সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।