সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে ৩৫০ কেজি অপরিপক্ব আম জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে উপজেলার মৌতলা ও ভাড়াশিমলা এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়াসীম উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

অমিত কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় অপরিপক্ব আম গাছ থেকে পেড়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন। পরে এসব আম কৃত্রিমভাবে রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করা হয়, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

অভিযানের বিষয়ে অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে আজ বেলা একটার দিকে মৌতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০০ কেজি গোবিন্দভোগ আম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কৃষ্ণনগর এলাকার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরেক অভিযানে বেলা তিনটার দিকে ভাড়াশিমলা এলাকায় ১৫০ কেজি গোবিন্দভোগ আম জব্দ করা হয়। এ সময় রঘুনাথপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলামকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অমিত কুমার আরও বলেন, খুব শিগগির আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হবে। তবে এই মুহূর্তে টকজাতীয় ও আঁটি আম বাজারজাত করার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় দলের বাইরে রিসোর্স কম, মনে করিয়ে দিলেন সালাউদ্দিন

প্রশ্নটা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে উঠতই। সবশেষ দশ টেস্ট ইনিংসে যে নেই কোনো ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৭ ভারতের বিপক্ষে কানপুরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রোববার শুরু হওয়া টেস্টে সিলেটে করলেন মাত্র ৪ রান। অত‌্যন্ত বাজে শটে ফিরেছেন সাজঘরে। তাইতো প্রশ্ন উঠছে, মুশফিকুর রহিমের কি সময় ফুরিয়ে এসেছে?

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পর মুশফিকুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে আছেন টেস্টে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক‌্যারিয়ারের ৯৫ টেস্ট খেলতে নেমেছেন। টেস্টের সেঞ্চুরি করার ইচ্ছা রয়েছে তার। কিন্তু সেই পর্যন্ত টিকবেন তো? দলও কি অফফর্মে থাকা মুশফিককে টানবে? দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছেই সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল। বিশ্রাম দিয়ে তাকে খেলানো যায় কিনা সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছিল।

উত্তর দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না তিনি, ‘‘দেখুন এটা আমাকে জিজ্ঞেস করে লাভ নেই। আমি টিমের পার্ট কিন্তু সব কিছু না।’’

আরো পড়ুন:

ব‌্যর্থতা স্বীকারের সঙ্গে বাস্তবতার আয়নায় সালাউদ্দিন

গা-ছাড়া ক্রিকেটে ডুবল আশার সূর্য

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯১ রান করে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে। সবশেষ দশ অলআউট হওয়া ইনিংসের ছয়টিতেই বাংলাদেশ দুইশর নিচে গুটিয়ে গেছে। মুমিনুল ৫৬ ও শান্ত ৪০ রান করেন। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার। এরপর লোয়ার অর্ডারে কেউই পারেননি দলের হাল ধরতে। দলের কেউই রানের মধ‌্যে নেই। তাদের বাদ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও যে কাউকে নিয়ে এসে খেলাবে সেই উপায়ও নেই। এমনটাই মনে করছেন সালাউদ্দিন।

তার ভাষ‌্য, ‘‘শেষ ৬টা টেস্টে আমাদের ব‌্যাটসম‌্যানরা ভালো করেনি। তাহলে আপনি নতুন কাউকে খুঁজেন। তাকেও আবার তৈরি করতে সময় দিতে হবে। তাকে আমরা সুযোগ দিতে থাকবো। একটা সময়ে আমরা মনে করবো তাকে দিয়ে হবে। বাট রিসোর্স খুবই কম আছে। কিন্তু ওইটা নিয়েও চিন্তা করলে হবে না যে আসলে কি নেই। এর মধ্যে থেকে আমরা কিভাবে বের হতে পারি সেটা নিয়ে জরুরি কাজ করা উচিত।’’

খেলোয়াড়দের প্রতিটি ধাপে চ‌্যালেঞ্জ তৈরি করার তাগদা দিলেন তিনি, ‘‘একটা দেশের ক্রিকেট আসলে নির্দিষ্ট কয়েকজন ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করে না। পুরো দেশের ক্রিকেটের স্ট্রাকচারটা কেমন এবং ওরা কতোটা চ‌্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে সামনে আসতেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই চ‌্যালেঞ্জ ফেস করার জন‌্য অনেক খেলা খেলতে হবে। সেটা ‘এ’ দল বা এইচপিতে হবে। বা জাতীয় দলে হোক। আপনাকে চ‌্যালেঞ্জ ফেস করে খেলতে হবে। এগুলোতে কতটা চ‌্যালেঞ্জ ফেস করে আসছেন এবং কিভাবে ছেলেগুলো বড় হচ্ছে সেটার উপর নির্ভর করবে ক্রিকেট স্ট্রাকচার।’’

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ