নারী চিকিৎসক দিয়ে নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত: নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল
Published: 20th, April 2025 GMT
নারী চিকিৎসক ও নারী প্যারামেডিকেল স্টাফ দিয়ে নারীর মরদেহের ময়নাতদন্তে (পোস্টমর্টেম) প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (শিক্ষা) বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে নারী চিকিৎসকের সঙ্গে নারী প্যারামেডিকেল স্টাফ দিয়ে নারীর মরদেহের ময়নাতদন্তে (পোস্টমর্টেম) প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ গত মাসে রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কাজী আখতার হামিদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জুয়েল আজাদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে পরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, পাকিস্তানে ইতিমধ্যে নারী চিকিৎক দিয়ে নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুধু জীবিত অবস্থায়ই নয়, মারা গেলেও মানুষের অধিকার ও মর্যাদা থাকে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন রায়েও এ বিষয় উল্লেখ করেছেন। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়, শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র র মরদ হ র ন তদন ত আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ রোববার রিটটি দায়ের করা হয়।
৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্তে দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রিটটি দায়ের করেন।
পরে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর আগামীকাল (সোমবার) শুনানি হতে পারে।’
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ৯ এপ্রিলের ওই সিদ্ধান্ত (অফিস আদেশ) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় ওই অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবিপ্রধান, সিআইডিপ্রধান, এসবিপ্রধানসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে কমিশনারের পক্ষে ৯ এপ্রিল ‘অফিস আদেশ’ জারি করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন।
অফিস আদেশের ভাষ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্তে দায়ের করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।