রাজশাহীতে ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
Published: 20th, April 2025 GMT
পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে রাজশাহীতে ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. এনামুল (৫৫)। তিনি রাজশাহী নগরেরশাহমখদুম থানার ভুগরইল এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার রুহুল আমিন (৩৮) তার ভগ্নিপতি। র্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল এনামুলকে গ্রেপ্তার করে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, মামলার দ্বিতীয় আসামি এনামুলকে গ্রেপ্তারে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি চলছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তারের পর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ রুহুল আমিনের স্ত্রী শারমিন সুলতানার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়ার একপর্যায়ে আসামি এনামুল রুহুলকে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। এসময় তার ভাই আমিনুল ইসলাম ওরফে মিন্টু তাঁর ডান হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে রুহুল আমিনের গলার বাঁ পাশে কোপ দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত রুহুল আমিনের বাবা বাদী হয়ে নগরের শাহমখদুম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৪ মার্চ রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানার পালপাড়া এলাকা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম ওরফে মিন্টু–কে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর র হ ল আম ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শাহমখদুম থানার পুরাতন ফুদকিপাড়া অভয়ের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. আরিফ (২৫)। তাঁর বাড়ি শাহমখদুম থানার ফুদকিপাড়া খিরসিন এলাকায়। গতকাল দুপুরে তিনি রাজশাহীর আদালত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মহানগর পুলিশ।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে মাদক মামলার আসামি আরিফকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান আসামিকে হাতকড়া পরা অবস্থায় আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আরিফ পালিয়ে যান।
পুলিশের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার পরপরই পুলিশ পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য নগরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করে এবং বিভিন্ন থানার টহল দলকে সতর্ক করে বার্তা দেয়। পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাঈনুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিবির একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১১টার দিকে শাহমখদুম থানার পুরাতন ফুদকিপাড়া অভয়ের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গ্রেপ্তারের পর আরিফের বিরুদ্ধে নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। পরে ওই মামলায় তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।