মানিকছড়িতে মোবাইল টাওয়ারের দুই টেকনিশিয়ানকে অপহরণের অভিযোগ
Published: 20th, April 2025 GMT
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি রবির দুই টেকনিশিয়ানকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে উপজেলা সদরের ময়ূরখীল এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। অপহৃত দু’জন হলেন- মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫) ও আব্রে মারমা (২৫)।
মানিকছড়িতে রবি টাওয়ার দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মাঠকর্মী মংথুই মারমা বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অচল টাওয়ার মেরামতের কাজ চলছিল। কিছুক্ষণ পর পার্শ্ববর্তী গচ্ছাবিল এলাকা থেকে ফিরে এসে দেখি দুই টেকনিশিয়ান নেই। তাদের মোবাইল ফোনেও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, তাদের কেউ অপহরণ করেছে নাকি ঘটনাস্থল থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, দুই টেকনিশিয়ান নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করেছেন মংথুই মারমা। আমরা খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ন কছড়
এছাড়াও পড়ুন:
৭২ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর
খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাদের সন্ধান মেলেনি। এ নিয়ে তাদের পরিবারে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চবির পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বহনকারী গাড়ির চালককেও অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফন্টের (ইউপিডিএফ) নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা, একই বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরো পড়ুন:
চবিতে জুনিয়রদের বিরুদ্ধে সিনিয়রকে মারধরের অভিযোগ, বিচার দাবি
অপহৃত শিক্ষার্থীদের বাবা-মাকে গোপন স্থানে ডেকেছে অপহরণকারীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর এমএইস আরিফ বলেন, “প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। এখনো তাদের খোঁজ মেলেনি। অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।”
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, “অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সন্দেহযুক্ত জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী