স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আমাদের মা ও শিশুদের জন্য একটি উজ্জ্বল ও সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৫ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আজ রোববার সকালে ঢাকাস্থ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম একথা বলেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, একটি শিশুর জন্ম শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো জাতির ভবিষ্যতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের সময় এবং নবজাতক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই আমরা শিশুর সুস্থতা ও বিকাশ নিশ্চিত করতে পারব। এ জন্য সরকার গর্ভকালীন সেবা, নিরাপদ প্রসব, নবজাতকের যত্ন এবং মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কেবল সরকার নয়-এই লক্ষ্য অর্জনে জনসচেতনতা, পরিবার ও সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ জন্মের জন্য আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে, গর্ভবতী মায়েদের যথাযথ যত্ন নিতে হবে এবং স্বাস্থ্য সেবাকে আরও সহজলভ্য ও সমন্বিত করতে হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আনতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সঠিক যত্ন নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে প্রসব করানো, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সুবিধা সম্প্রসারণ, শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করণ, টিকাদান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রচার বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, দেশি-বিদেশি সংস্থা ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমি আজকের এই দিনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং ভবিষ্যতে সকলের কার্যক্রম আরও জোরদার হবে- এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো.

সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব স থ য উপদ ষ ট স ব স থ য উপদ ষ ট ন শ চ ত কর ও পর ব র ক জ কর মন ত র সরক র প রসব ত করত

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্যারেজ মালিক লাপাত্তা

সিদ্ধিরগঞ্জে মোটরসাইকেল গ্যারেজ মালিক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

দীর্ঘ ৬ মাস অপেক্ষার পরও ফিরে না আসায় তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার বাড়ির মালিক সেলিনা বেগম। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে তিনি রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে দোকানের তালা কেটে দোকান নিজের নিয়ন্ত্রনে নেন।  

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার তারালিয়া (সরদার বাড়ি) এলাকার আরব আলী সরদারের ছেলে আব্দুল কাদের(৩৮) সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকার সেলিনা বেগমের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নেন। তিনি দোকানটিকে মোটরসাইকেলের গ্যারেজ বানিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। 

এ অবস্থায় এলাকার বিভিন্ন লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পাওয়ানা দাররা টাকার জন্য চাপ দিতে থাকলে কাদের কাউকে কিছু না বলে রাতের আধাঁরে গ্যারেজের মূল্যবান মালামাল সরিয়ে পালিয়ে যায়।

এতে বাড়ির মালিক সেলিনা পড়েন বিপাকে। ৬ মাস ধরে তিনি ভাড়া পাচ্ছেন না । পাশাপাশি দোকনটি অন্য কাউকে ভাড়া দিতে পারছেন না। নিরুপায় হয়ে প্রতিকারের জন্য তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। 

তবু আব্দুল কাদের এলাকায় না আসায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দোকানের তালা কেটে ফেলেন। পরে ভেতরে গিয়ে নষ্ট একটি মোটর সাইকেল আর কিছু যন্ত্রপাতি ছাড়া গ্যারেজে আর কিছু দেখতে পাননি। তখন গ্যারেজে যা ছিল লোকজনের উপস্থিতিতে তার তালিকা করে দোকানটি নিজের নিয়ন্ত্রনে নেন। 

এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইউ-পরিদর্শক সালেহ আহমেদ বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত লোক পলাতক রয়েছে। তিনি বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ