পাবর্ত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থেকে এবার একটি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক কোম্পানির দুই টেকনিশিয়ানকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার ময়ুরখীল এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামত করতে গেলে তাদের মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়।

রবিবার (২০ জানুয়ারি) মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, “গত ২২ জানুয়ারি সন্ত্রাসী হামলায় একটি মোবাইল কোম্পানির ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামত গিয়ে দুইজন টেকনিশিয়ান অপহরণ হয়েছেন বলে লোকমুখে শুনেছি। এখন পর্যন্ত টাওয়ার সংশ্লিষ্ট কেউই পুলিশ বা প্রশাসনকে অবহিত করেননি। লোকমুখে শোনা কথার সত্যতা নিশ্চিত করাও কঠিন। তারপরও আমরা খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

অপহৃতরা হলেন- মো.

ইসমাইল হোসেন (৩৫) ও আব্রে মারমা (২৫)।

আরো পড়ুন:

বরগুনায় শ্রমিক লীগ নেতা ৯ মামলায় গ্রেপ্তার 

আম গাছে ঝুলছিল নৈশপ্রহরীর লাশ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেল ২২ জানুয়ারি ভোরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙা উপজেলার কয়েকটি মোবাইল টাওয়ার ভাঙচুর ও আগুনে জ্বালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারের আওতায় থাকা কয়েক হাজার মোবাইল গ্রাহক সেবা বঞ্চিত। 

শনিবার বিকেলে মানিকছড়ি উপজেলার ধর্মঘরস্থ (চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক সংলগ্ন) ময়ুরখীল বিলে থাকা একটি টাওয়ার মেরামত যান দুইজন টেকনিশিয়ান। মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করে।

এর আগে, গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। একইসঙ্গে তাদের বহনকারী গাড়ির চালককেও অপহরণ করা হয়।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও পিসিপির চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা ও প্রাণি বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। 

ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ অপহরণ ম ন কছড়

এছাড়াও পড়ুন:

৭২ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর

খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাদের সন্ধান মেলেনি। এ নিয়ে তাদের পরিবারে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চবির পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বহনকারী গাড়ির চালককেও অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফন্টের (ইউপিডিএফ) নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা, একই বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন:

চবিতে জুনিয়রদের বিরুদ্ধে সিনিয়রকে মারধরের অভিযোগ, বিচার দাবি

অপহৃত শিক্ষার্থীদের বাবা-মাকে গোপন স্থানে ডেকেছে অপহরণকারীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর এমএইস আরিফ বলেন, “প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। এখনো তাদের খোঁজ মেলেনি। অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।”

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, “অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সন্দেহযুক্ত জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানিকছড়িতে মোবাইল টাওয়ারের দুই টেকনিশিয়ানকে অপহরণের অভিযোগ
  • চবির অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে সমাবেশ 
  • খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
  • ভবেশের মৃত্যু: ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
  • বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় ব্যর্থ: ভারত
  • চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবি ছাত্রদল ও মৈত্রীর
  • ৭২ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর
  • সন্তানদের অপেক্ষায় দিন কাটছে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের
  • খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অভিযান অব্যহত