বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
Published: 20th, April 2025 GMT
গাজীপুরে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, ছাঁটাই করা কর্মকর্তাদের পুনর্বহালসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছেন ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে হাজারখানেক শ্রমিক এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা জানান, গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও চলতি এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁরা আন্দোলন করছেন। ১৩ এপ্রিল কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমির হোসেনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সাত শ্রমিক ও পাঁচ কর্মচারীকে কারখানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। অন্যায্যভাবে ২৪২ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এ অবস্থায় বকেয়া বেতন–ভাতা, ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধসহ ৯ দফা দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ পরিশোধ, অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত ও মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে কারখানার ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য দেন কারখানার সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব জামান। তিনি বলেন, তিন মাসের বকেয়া বেতন–ভাতা না পেয়ে শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁদের পাওনা পরিশোধ না করে মালিকপক্ষ কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে নানাভাবে হয়রানি করছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকেরা তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছেন। শ্রমিকেরা কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করেনি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করে তাঁরা ফিরে গেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স র বক য় পর শ ধ করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মানববন্ধন
ঢাকার উত্তরায় বেসরকারি শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের আট শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কলেজের ফটকে মানববন্ধন করেছে ছাত্রদল। একই সঙ্গে ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কলেজের দেয়াল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অপসারণ ও বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফার পক্ষে কর্মসূচি পালনের জেরে ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে ছাত্রদলের দাবি।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ফটকে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের পর তাঁরা মেডিকেল কলেজটির অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দেন।
মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম বলেন, ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল। যদিও গত জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে, তবু তাঁর অনুসারীরা এখনো বহাল তবিয়তেই আছেন। কলেজটিকে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ও মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের পরিবার রাজনৈতিক কার্যালয়ের মতো ব্যবহার করত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় মনসুর আলী মেডিকেলের ফটক বন্ধ করে অসংখ্য আহত ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন শ্যামল মালুম। তিনি বলেন, গত ১৯ নভেম্বর সচেতন কিছু ছাত্র-জনতা কলেজের দেয়াল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অপসারণ করলে নাসিমের পরিবার এবং তাদের পোষ্য কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হয়। পরে মিথ্যা মামলার পাশাপাশি আট শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
মানববন্ধনের পর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কলেজের অধ্যক্ষকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে অধ্যক্ষ তাঁদের দাবির ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে আন্দোলনের কর্মসূচি আরও কঠোর হবে।
এ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি রেহেনা আক্তার শিরিন ও রেজওয়ানুল হক সবুজ, যুগ্ম সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তারিক, গাজী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।