বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল এসএসসি পরীক্ষার্থী
Published: 20th, April 2025 GMT
দিনাজপুরের বিরামপুরে বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় হাসান আলী (১৬) নামের এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের দোয়েল স্টুডিও মোড়ে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় হাসানের বন্ধু মোটরসাইকেলের চালক নাঈম হোসেন (১৭) আহত হয়েছে।
নিহত হাসান আলী পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চকপাড়া লিচুবাগান এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা মিলন ইসলামের ছেলে। সে চলমান এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ছিল। হাসান উপজেলার আমানুল্লাহ আদর্শ বিদ্যানিকেতনের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিল বলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রশিদ জানিয়েছেন। আহত নাঈম হোসেন একই এলাকার নিয়ামুল হকের ছেলে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ বেলা ১১টার দিকে হাসান তার বন্ধু নাঈমের মোটরসাইকেলে করে বিরামপুর শহরে ঘুরতে যায়। নাঈম মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল, হাসান পেছনে বসে ছিল। পথে পৌর শহরের দোয়েল স্টুডিও মোড়ে পৌঁছালে গোবিন্দগঞ্জ থেকে আসা পণ্যবাহী একটি পিকআপ মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দিলে তারা মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। এ সময় হাসান আলী পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হাসান আলীকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল। সে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হাসান আলী নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। নিহতের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ঘটনার পর পিকআপ ভ্যানের চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ হ স ন আল প র শহর উপজ ল প কআপ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, ২ যুবককে কারাদণ্ড
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে দুই যুবককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের নগর গ্রামের কালু ঢালীর ছেলে জুয়েল ঢালী (২৫) এবং আবু বক্কর মেলকারের ছেলে সিয়াম মেলকার (২২)। তারা একই গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী পাপড়ি আক্তারকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করে আসছিল বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার উদ্দেশে যাওয়ার পথে ফতেজঙ্গপুর এলাকায় অভিযুক্তরা পাপড়ির অটোগাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। চালক গাড়ি না থামালে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
ঘটনার খবর পেয়ে পাপড়ির বাবা মো. বাচ্চু হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের বাধা দিলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম করে। তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
পরে ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) শিকদার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত বাচ্চু হাওলাদারকে উদ্ধার করে এবং পরদিন শুক্রবার তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
পরে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৬(১) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৫০৯ ধারায় মামলা গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল অভিযোগ পড়ে শোনান এবং অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করলে দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাদের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়।
অবশেষে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৭(২) ধারা অনুযায়ী উভয় আসামিকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং তাদের শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরবর্তীতে মামলা নিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়।