সাবেক প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ বিপুর বাড়ি-গাড়ি জব্দের আদেশ
Published: 20th, April 2025 GMT
সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঢাকার একটি ফ্ল্যাট, তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট ও তিনটি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার ৭০টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় বিচারক। এসব অ্যাকাউন্টে ৩৭ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকা রয়েছে।
এ ছাড়া জব্দ করা ফ্ল্যাটটি রাজধানীর পরীবাগের প্রিয় প্রাঙ্গণে, আর অ্যাপার্টমেন্ট তিনটি বনানীর পিপি টাওয়ারে। এসব স্থাপনার দাম ধরা হয়েছে ৮৫ লাখ ৫ হাজার ৯৪৭ টাকা। এ ছাড়া গাড়ি তিনটির বাজার মূল্য ২ কোটি ৪৭ লাখ ১১ হাজার ৫২৯ টাকা নির্ধারণ করেছে দুদক।
এদিন দুদকের পক্ষে কমিশনের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম এসব সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামি নসরুল হামিদের বিপুর নামে থাকা স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা বেহাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সুষ্ঠু অঅনুসন্ধানের স্বার্থে তার নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নসরুল হামিদ বিপু এবং তার স্ত্রী সীমা হামিদের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২০টি একাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নসর ল হ ম দ অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
অনুপ্রবেশ করে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: জামায়াত
বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির এ দেশে অনুপ্রবেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি মনে করে, অনুপ্রবেশ করে উৎসব করার মাধ্যমে আরাকান আর্মি মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ রোববার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ ও ১৭ এপ্রিল ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের রেমাক্রি মুখ এলাকায় বাংলাদেশের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছে। সেখানে তারা স্থানীয় উপজাতিদের নিয়ে জলকেলি উৎসব পালন করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, তারা শুধু জলকেলি উৎসব পালন করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, ওই উৎসবের সচিত্র ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছে। আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ‘ইউএলএ’ এবং স্থানীয় জনগণ ওই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সীমানার ১০ কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করে উৎসব করার মাধ্যমে তারা মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ঘটনা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর এক মারাত্মক হুমকি ও উদ্বেগজনক। ওই সময় আমাদের সরকার, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনী কী করছিল? এটা বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য চরম ব্যর্থতা। এ ধরনের উদাসীনতা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। দেশবাসী এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীর সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চায়।’
বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় আরাকান আর্মির ধৃষ্টতাপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।