নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চেয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা শেষে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এ কথা জানান।

এর আগে সকাল ১০টায় রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে এ সভা শুরু হয়।

সভা শেষে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্যাসিবাদী আমলে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, মোদি বিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার এবং হেফাজত ইসলামের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় কিছু বিতর্কিত বিষয় স্থান পেয়েছে বলে মনে করে হেফাজতে ইসলাম। বিশেষ করে বহুত্ববাদের প্রস্তাবনাকে হেফাজত প্রত্যাখ্যান করছে। এই প্রস্তাবনা বাতিল করে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় আপত্তিকরভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান, বিশেষ করে ইসলামী উত্তরাধিকার ও পারিবারিক আইনকে নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে; এই প্রস্তাবনা বাতিলের পাশাপাশি পুরো কমিশন বাতিল করতে হবে।

সেই সঙ্গে ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, বিশেষ করে দেশটির পার্লামেন্টে সম্প্রতি যে ওয়াকফ আইন সংশোধনী পাস হয়েছে, সেটি বাতিল করতে ভারত সরকারের কাছে দাবি জানানোর জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

আরও পড়ুননারীর জন্য ৩০০ সংরক্ষিত আসন, বিয়ে-তালাক, উত্তরাধিকারে সমান অধিকার দেওয়ার সুপারিশ ১৬ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদ এবং সেই গণহত্যা বন্ধে বিশ্বনেতৃত্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান জানান, তাঁদের বিশেষ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৩ মে শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত এ সমাবেশ হবে। সেখানে বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করা হবে।

এ বিষয়ে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, মহাসমাবেশ সফল করতে আগামী মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী সপ্তাহের সোমবার (২৮ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশব্যাপী গণসংযোগ করা হবে।

আরও পড়ুননারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ ১৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা

দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাকায় হলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বৈঠকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠকের পর মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে। বিশেষ করে, একাত্তরের অমীমাংসিত বিষয়, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সংস্কৃতি, খেলাধুলা, সরাসরি ফ্লাইট চালু, উচ্চ শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একাত্তরের অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ-পাকিস্তানে রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে।

জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নে অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসা করার উপযুক্ত সময় এখন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে বসে উভয় দেশের প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১টার পর।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরো ৫৪ ফিলিস্তিনি
  • সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে শহীদ পরিবার বিচার পাবে না, আশঙ্কা জুলাই মঞ্চের
  • ফিলিস্তিনিদের মুক্তির উপায় পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে বিদায়: অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম
  • শহীদি সমাবেশ সফল করতে রাজশাহীতে গণসংযোগ
  • পাকিস্তান ও ভারতকে বাংলাদেশের দুই বার্তা
  • অর্থ ফেরত ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ঢাকার
  • সম্পদ ফেরত ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ঢাকার
  • একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা